সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটদানের তথ্যপ্রকাশ্যে দেরি কেন? নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পাঁচ বছর আগেই মামলা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র। আগামী শুক্রবার অর্থাৎ ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের একদিন আগে মহুয়ার সেই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। এক্স হ্যান্ডেলে নিজেই এ কথা জানিয়েছেন কৃষ্ণনগরের বহিষ্কৃত সাংসদ।
মোট ভোটদাতা কত, ঠিক কতজন ভোট দিয়েছেন। চার দফা নির্বাচনের পর শতাংশের হিসাব দিলেও সেই সংখ্যা কিছুতেই প্রকাশ করছে না নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ভোটদাতার সংখ্যার খোঁজে সুপ্রিম কোর্টে দাখিল হয়েছে আবেদন। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস সুপ্রিম কোর্ট আর্জি জানায়, ভোটগ্রহণের পরপরই ভোটের পরিসংখ্যান এবং তথ্য যাতে কমিশন দেয়, সে ব্যাপারে নির্দেশ দিক শীর্ষ আদালত।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় ঝেঁপে বৃষ্টি, পঞ্চম দফার ভোটে ভিজল দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা]
মহুয়া এদিন দাবি করেছেন, "আমি ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টে মূল মামলাকারী ছিলাম। এবং নির্বাচন কমিশনকে ভোট দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১৭সি ফর্মের সমস্ত ভোটারের তথ্য প্রকাশ করতে বলেছিলাম। মামলাটি ২৪ মে শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।" এর আগে মহুয়া প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁর কেন্দ্র কৃষ্ণনগরে ভোট হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ভোটের বিস্তারিত তথ্য পেতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। অথচ কমিশন সেই তথ্য দিতে পারছে না কেন?
[আরও পড়ুন: শ্লীলতাহানিতে ‘অভিযুক্ত’ জওয়ানকে ভোটের দায়িত্ব থেকে সরাল নির্বাচন কমিশন, দায়ের FIR]
উল্লেখ্য, ভোটদান সংক্রান্ত তথ্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ করতে সমস্যা কোথায়? সেটা জানতে চেয়ে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে নোটিস দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছে, ভোটের (Lok Sabha 2024) পরই কেন ১৭ সি ফর্ম আপলোড করা যাবে না? মোট ভোটদাতা কত, ঠিক কতজন ভোট দিয়েছেন সেটা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জমা দিতে সমস্যা কী? আগামী শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানি।