বাবুল হক, মালদহ: রাজ্যে প্রথমবার ভোটপ্রচারে আসছেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় স্তরের প্রথম সারির নেতা। রবিবার তৃতীয় দফার প্রচারের শেষদিন মালদহে জনসভা করবেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। দক্ষিণ মালদহের প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরীর সমর্থনে জনসভা করার কথা কংগ্রেস সভাপতির।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা, রাজ্য চষে বেড়াচ্ছেন। বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জনসভা করে যাচ্ছেন। তৃণমূলের তরফেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারা রীতিমতো রাজ্যজুড়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তৃণমূলের অন্য নেতারাও বিভিন্ন প্রান্তে সভা করেছেন। সে তুলনায় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা রাজ্য নিয়ে কার্যত উদাসীন ছিলেন। দুদফার ভোট মিটে, তৃতীয় দফার প্রচার শেষের দিকে। অথচ রাজ্যে শীর্ষস্তরের কোনও কংগ্রেস নেতা পা রাখেননি। নামমাত্র দলের সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি ইমরান প্রতাপগ্রাহীকে বাংলায় পাঠিয়ে দায় সেরেছে এআইসিসি।
[আরও পড়ুন: ৭০০ গাড়ি নিয়ে ব্রিজভূষণের পেশি প্রদর্শন! ভোটের বেসাতিতে চাপা পড়ল অ্যাথলিটদের কান্না?]
রায়গঞ্জের মতো সম্ভাবনাময় আসনেও প্রচারে দেখা যায়নি গান্ধী পরিবারের কোনও সদস্য বা মল্লিকার্জুন খাড়গে, শচীন পাইলটদের স্তরের কোনও নেতাও বঙ্গে আসেননি। মালদহের নেতৃত্বের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে রাজ্যে এনে জনসভা করানোর। কংগ্রেস (Congress) মালদহ দক্ষিণকে 'পজিটিভ' আসন হিসাবে দেখছে। শেষ পর্যন্ত জেলা কংগ্রেসের তদ্বিরের পর মল্লিকার্জুন খাড়গে রাজি হয়েছেন রাজ্যে আসতে। রবিবার দক্ষিণ মালদহে ঈশা খান চৌধুরীর সমর্থনে সভা করবেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘আগে রায়বরেলিতে জিতুন, তার পর…’, আচমকাই কাসপারভের খোঁচা রাহুলকে!]
বস্তুত কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব এতদিন প্রচারে এ রাজ্যেকে এড়িয়ে চলছিলেন তৃণমূলকে সরাসরি আক্রমণ করতে চাইছিলেন না বলেই। তৃণমূলের সঙ্গে আসন সমঝোতা না হলেও সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেনি এআইসিসি (AICC)। আবার মমতাও অধীর চৌধুরীদের মতো প্রদেশ নেতাদের আক্রমণ করে গেলেও, কেন্দ্রীয় কংগ্রেস নেতৃত্বকে সেভাবে আক্রমণ করেননি। এখন দেখার খাড়গে রাজ্যে এসে মমতাকে আক্রমণ করেন নাকি শুধু বিজেপির বিরুদ্ধেই বলেন?