সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম পর্বের ভোট শেষ। আগের তুলনায় হিন্দি বলয়ে ভোটের হার বেশ কম। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাতে খানিক আশঙ্কার চোরাস্রোত বইছে গেরুয়া শিবিরে। এতটাই যে, দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে আসরে নামতে হয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi)। দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে মোদি আরও আক্রমণাত্মক। এতদিন প্রচারে আলাদা করে রাহুল গান্ধীকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী। শনিবার তিনি সরাসরি তোপ দাগলেন রাহুল গান্ধী-সহ গোটা গান্ধী পরিবারকে।
শনিবার মহারাষ্ট্রের নান্দেড়ের এক জনসভায় দাঁড়িয়ে মোদি ঘোষণা করেছেন, "প্রথম দফার যা তথ্য পেয়েছি তাতে বোঝা যাচ্ছে, ভোট হয়েছে একতরফা এনডিএ'র পক্ষে।" সোজা রাহুলকে নিশানা করে মোদির বক্তব্য, "কংগ্রেসের (Congress) শাহজাদা আগেরবার আমেঠি থেকে হেরেছে। এবার ওয়ানড় থেকেও হারবে। ২৬ এপ্রিলের পর ওকে আবার নিরাপদ আসন খুঁজতে হবে।" শুধু রাহুল নন, গোটা গান্ধী পরিবারকে আক্রমণ করেছেন মোদি। সোনিয়াকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলছেন, "ইন্ডিয়া (INDIA) ব্লকের নেতারা আর লোকসভায় লড়াই করার সাহস দেখাতে পারছেন না। রাজ্যসভায় চলে যাচ্ছেন। অবস্থা এত খারাপ যে ওই পরিবার প্রথমবার কংগ্রেসকেও ভোট দিতে পারবে না।"
[আরও পড়ুন: ‘সেক্স’ নয়, সাক্ষাৎকারে ‘এগস’ বলেছিলেন মহুয়া! উঠল শব্দ বিকৃতির অভিযোগ]
আসলে দিল্লির যে আসনে গান্ধী পরিবার ভোট দেয়, সেই আসনটি এবার জোটের স্বার্থে ছাড়া হয়েছে আম আদমি পার্টিকে। সেখানে কংগ্রেসের প্রার্থী নেই। তাই নিয়েই গান্ধীদের নিশানা করেছেন মোদি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে সোনিয়া গান্ধী এবার লোকসভায় লড়ছেন না। তিনি গিয়েছেন রাজ্যসভায়। সেটা নিয়ে প্রাক্তন ইউপিএ চেয়ারপার্সনকেও নিশানা করেছেন মোদি। এদিকে কংগ্রেস সূত্র বলছে, ২৬ এপ্রিল কেরলের ভোটের পর রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ফের আমেঠি থেকে প্রার্থী হতে পারেন। সেটা আঁচ করেই সম্ভবত মোদি আগে ভাগে রাহুলকে 'নিরাপদ' আসনের খোঁচা দিয়ে রাখলেন।
[আরও পড়ুন: পানে আঁকা পদ্মফুল, পরনে লাল বেনারসি, ছেলেকে কোলে নিয়েই রাতুলের সঙ্গে বিয়ে রূপাঞ্জনার]
রাহুলও পালটা দিতে ছাড়েননি। বিহারের সভা থেকে তিনি বলে গিয়েছেন, "নরেন্দ্র মোদি দেশে দুর্নীতির স্কুল চালাচ্ছেন। তাতে সমগ্র দুর্নীতি বিজ্ঞান নিয়ে তিনি নিজেই পড়ান।" প্রথম দফার ভোটের পর প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির দৃপ্ত ঘোষণা, "লোকসভায় গোটা দেশে বিজেপি ১৫০ পেরোবে না।"