স্টাফ রিপোর্টার: বাম-কংগ্রেস চাইলে জোট হতো। চায়নি বলেই জোট ভেস্তে গেল। এভাবেই জোট জট নিয়ে বাম-কংগ্রেসের উপরই দায় চাপিয়ে দিলেন আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। শুধু তাই নয়, যাদবপুর, শ্রীরামপুর-সহ আরও একাধিক আসনেও যে আইএসএফ প্রার্থী দিতে চলেছে তা এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক।
বুধবার নওশাদ রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বললেন, ‘‘বাম-কংগ্রেস (Congress) চায়নি আইএসএফের সঙ্গে জোট হোক। কংগ্রেস তো শুরু থেকেই চাইছে না। বামের কিছুটা মনোভাব থাকলেও তারাও চাইছে না। যদি তারা চাইতো তাহলে আইএসএফকে (ISF) সন্মানজনক জায়গায় রেখে জোট করতো।’’ তাঁর কথায়, ‘‘জোট নিয়ে আমাদের দিক থেকে স্বার্থত্যাগ করতে করতে আসন সাতে এসে দাঁড়িয়েছে। আশা করব বামেদের দিক থেকে একটু ওপরে উঠুক। বারাসত-বসিরহাট-বনগাঁ-দমদম-বারাকপুর এই পাঁচটি আসনের মধ্যে দু’টি চেয়েছি আমরা।’’ সূত্রের অবশ্য খবর, বৃহস্পতিবার আইএসএফ দ্বিতীয় দফায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারে।
[আরও পড়ুন: ছেলেবেলার লাজুক ছেলেই আজ কথায় কথায় ‘রগড়ে’ দেন! প্রেম এসেছিল দিলীপ ঘোষের জীবনে?]
ইতিমধ্যেই আটটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে আইএসএফ। তার মধ্যে শ্রীরামপুর ও মুর্শিদাবাদ আসনেও প্রার্থী দিয়েছে আইএসএফ। যেখানে আবার সিপিএমের (CPIM) প্রার্থীও রয়েছে। মুর্শিদাবাদে সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম (Mohammad Selim)। সেখানেও প্রার্থী দিয়েছে আইএসএফ। এদিন নওশাদ ইঙ্গিত দিয়েছেন, ১৫, ২০ বা ২৭টি আসনেও লড়াই করতে পারে আইএসএফ। বিজেপির সঙ্গে কোনও গোপন সমঝোতার বিষয় নেই বলে এদিন পরিস্কার করে দিয়ে নওশাদ বলেন, ‘‘বিজেপি আমার সঙ্গে সমঝোতা করতেই পারে না। আর তৃণমূলও তো আমাকে কিনতে পারেনি।’’ বিজেপির টাকা নিয়ে তাঁরা নাকি দল চালান বলে অভিযোগ, এই প্রশ্নের জবাবে নওশাদ বলেন, ‘‘যারা বলছে তারা যোগাযোগ করিয়ে দিক ৯০ শতাংশ টাকা তাঁদের দিয়ে দেব।’’
[আরও পড়ুন: আগুনে গরমে পুড়বে গোটা দেশ, এপ্রিল-জুনে ভয়ংকর তাপপ্রবাহের সতর্কতা মৌসম ভবনের]
এদিকে, বামেরা (Left Front) তাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা এখনও ঘোষণা করতে পারেনি। কয়েকটি আসনে শরিক ও কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা হয়নি। কোচবিহার, পুরুলিয়ার মতো আসনে বাম-কংগ্রেস কোনও সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনাও কার্যত নেই। বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে সমঝোতা নিয়ে আবার নতুন ক্ষোভ উঠে এসেছে দুই শিবিরেই। জোট হওয়ার পরও বামেরা কংগ্রেসকে ভোট দেয়নি বলে এর আগের একাধিক নির্বাচনে অভিযোগ উঠেছে। কখনও ঘটেছে উল্টোটা। জোট জটিলতা বাড়তেই আরও একবার সেই প্রশ্ন সামনে এসে গিয়েছে। বামফ্রন্টের বৈঠক দেরি হওয়ায় সিপিএমের উপর চাপা ক্ষোভ রয়েছে শরিকদের। শুক্রবার বা শনিবার ফ্রন্টের বৈঠকের পর বাকি প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হতে পারে বলে খবর। এদিকে, ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে সিপিএম ও বিজেপি এখনও তাদের প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি। যোগ্য প্রার্থীই তারা খুঁজে পাচ্ছে না বলে দুই শিবির সূত্রেই খবর। ফলে ডায়মন্ডহারবার আসনে বিরোধী শিবির কার্যত ছত্রভঙ্গ হয়ে গিয়েছে।