সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক দশকে প্রথমবার বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে 'ব্র্যান্ড মোদি'। স্রেফ প্রধানমন্ত্রীর মুখ দেখে আর ভোট দিচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। বরং সরকারের বিরুদ্ধে চরম অসন্তোষ রয়েছে। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এমনটাই পর্যবেক্ষণ প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor)। যদিও একই সঙ্গে তিনি বলছেন, এত কিছুর পরও ২০২৪-এ মোদির ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে সংশয় নেই। ৪০০ আসনের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও শ'তিনেক আসন বিজেপি ঠিকই পাবে।
অন্ধ্রপ্রদেশের প্রথম সারির এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিকে বলেছেন,"এই নির্বাচনে বোঝা গেল ব্র্যান্ড মোদি (Brand Modi) অজেয় নয়। এমন নয় যে কেউ তাঁকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না। সাধারণ মানুষই প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করাচ্ছে। কোনও রাজনৈতিক দল সেটা করতে পারুন বা না পারুন।" পিকের কথায়, "যে দেশের ৬০ কোটি মানুষ এখনও দিনে ১০০ টাকার বেশি রোজগার করতে পারে না, সেখানে সরকার বিরোধী হাওয়া কখনও দুর্বল হতে পারে না।"
[আরও পড়ুন: সুন্দরবনে গুলির লড়াই, চোরাশিকারীদের গুলিতে খুন বনকর্মী]
দেশের প্রথম সারির ভোটকুশলী তথা রাজনৈতিক কর্মীর কথায়, কোনও বিরোধী দল বা কোনও বিরোধী জোট দুর্বল হতে পারে। সরকারের প্রতি বিরোধিতা কখনও দুর্বল হয় না। এদেশে কেউ কোনও দিন ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পায় না। বিজেপি (BJP) ৪০ শতাংশ ভোট পাচ্ছে মানেও আরও ৬০ শতাংশ মানুষ অখুশি। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে মোদির প্রতি যে বিশাল জনসমর্থন ছিল, সেটা এবার নেই। আর সেটাই ব্র্যান্ড মোদির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
[আরও পড়ুন: ভুয়ো সার্টিফিকেট নিয়ে শিক্ষকতা! বাগুইআটির নামী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ]
কিন্তু এত কিছুর পরও বিজেপি ৩০০ আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরতে পারে বলে মনে করছেন পিকে (PK)। কারণ, ভোটকুশলী মনে করছেন সাধারণ মানুষের কাছে সেভাবে বিকল্প হিসাবে নিজেদের তুলে ধরতে পারেননি বিরোধীরা। এবছর মানুষ ভাবছে, 'অব কেয়া করে, কোই দুসরা হ্যায় নেহি তো ইনহি কো দেনা পড়েগা।' ফলে মানুষের মধ্যে নেতিবাচক পরিবর্তন এসেছে ঠিকই, কিন্তু সেটার প্রভাব ভোট বাক্সে পড়বে না।