সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: নির্বাচনী বন্ড কেলেঙ্কারির তদন্ত করুক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বিশেষ তদন্তকারী দল। এই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। তথাকথিত এই বন্ড 'দুর্নীতি' প্রকাশ্যে এনে সুপ্রিম কোর্টে যে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস বা এডিআর (ADR) মামলা দায়ের করেছিল, প্রশান্ত তাঁদেরই আইনজীবী ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের ওই বর্ষীয়ান আইনজীবীর দাবি, আপাত দৃষ্টিতে যা দেখা যাচ্ছে, নির্বাচনী বন্ডে তার চেয়ে অনেক বেশি কেলেঙ্কারি হয়েছে।
বর্ষীয়ান ওই আইনজীবী বলছেন, "দুর্নীতি দমন আইন অনুযায়ী সরকারি দপ্তরে আটকে থাকা কোনও ফাইল পাস করানোর জন্য যদি সরকারি আধিকারিককে টাকা দেওয়া হয়, তাহলে সেটা ঘুষ হিসাবে পরিগণিত হয়। আমাদের খুঁজে বের করতে হবে এই নির্বাচনী বন্ড কেলেঙ্কারির নেপথ্যে কোন কোন সরকারি আধিকারিক যুক্ত, বেসরকারি সংস্থারই বা কোন কর্তারা যুক্ত।" এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে কোনও এজেন্সি যুক্ত কিনা সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে।
[আরও পড়ুন: ‘দেশ বদলাচ্ছে’, মোদি সরকারের ৩ ফৌজদারি আইনের প্রশংসায় চন্দ্রচূড়]
প্রশান্ত ভূষণ (Prashant Bhushan) জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগেই তিনি বন্ড কেলেঙ্কারির তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, পুরো বিষয়টির তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি হোক। আর সেই বিশেষ তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে থাকুন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতি। প্রশান্তের দাবি, আপাত দৃষ্টিতে এই কেলেঙ্কারি ১৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মনে হলেও আসলে এটা ১৬ লক্ষ কোটি টাকার। বন্ডের মাধ্যমে প্রত্যেক হাজার কোটির অনুদানের জন্য সংস্থাগুলি তার ১০০ গুন সুবিধা সরকারের কাছ থেকে নিয়েছে।
[আরও পড়ুন: জেলে কেজরিওয়ালকে ধীরে ধীরে হত্যার চেষ্টা! বিস্ফোরক অভিযোগ আপের]
মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উদাহরণ তুলে প্রশান্ত ভূষণ দাবি করেছেন, ওই সংস্থা বিজেপিকে ১৪০ কোটি টাকা বন্ডের মাধ্যমে দিয়েছে। তার বদলে সরকার ওই সংস্থাকে ১৪ হাজার কোটির বরাত দিয়েছে। সেই হিসাবে পুরো কেলেঙ্কারি ১৬ লক্ষ কোটির। শুধু তাই নয়, বন্ডের মাধ্যমে অনুদান না করলে ইডি-সিবিআই হয়তো বহু সংস্থার বহু টাকা বাজেয়াপ্ত করতে পারতো, বা দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনতে পারত। সেগুলোও হিসাবের মধ্যে আনতে হবে।