সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা না করার নেপথ্যেও রয়েছে রাজনৈতিক অঙ্ক। পুরোটাই করা হয়েছে ইন্ডিয়া (India) জোটের কথা ভেবেই। এমনটাই দাবি তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেবের। তাঁর বক্তব্য, বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট না হওয়ায় সুবিধাই হয়েছে ইন্ডিয়া জোটের।
এআইসিসি (AICC) রাজ্যে বরাবর তৃণমূলের সঙ্গে জোটের পক্ষে ছিল। এমনকী আসন সমঝোতা ভেস্তে যাওয়ার পরও তৃণমূলকে আক্রমণ করার পথে হাঁটেনি কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), মল্লিকার্জুন খাড়গেরা ভোটপ্রচারে রাজ্যকে ব্রাত্য করে রেখেছেন স্রেফ তৃণমূলকে আক্রমণ করতে চান না বলেই। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব বিস্তর বুঝেছে, যে এটা রাজ্যের ভোট নয়। এক্ষেত্রে মূল শত্রু বিজেপি, তৃণমূল নয়। আর বিজেপিকে দিল্লি থেকে উৎখাত করতে তৃণমূলের সহযোগিতা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। এদিকে রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা না করলেও কেন্দ্রীয় স্তরে যে জোট রয়েছে সেটা বারবার স্পষ্ট করেছে তৃণমূলও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই একাধিকবার বলেছেন, দিল্লিতে তৃণমূল ইন্ডিয়া জোটেরই অংশ।
[আরও পড়ুন: শাহ-যোগী ‘বিভেদ’ উসকে দেওয়ার কৌশল, দিল্লি জয়ে নয়া চাল কেজরির]
এখন প্রশ্ন হল, দুই শিবিরই যখন জোটের ব্যাপারে একমত, তখন রাজ্যে কেন আসন সমঝোতা হল না? সুস্মিতা দেবের ব্যাখ্যা, "জোট আর আসন সমঝোতার মধ্যে পার্থক্য আছে। আমাদের জোট আছে কিন্তু বাংলা বা অসমে আসন সমঝোতা হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বাংলার ৪২ আসনেই লড়ছেন। তিনি যদি সেটা না করতেন তাহলে তাহলে বাংলায় বিজেপিই জিতত।" নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সুস্মিতা বলছেন, বাংলায় যদি কংগ্রেসকে ১৫ আসন ছাড়া হত, তাহলে ৯০ শতাংশ আসনে ওরা হারত। বিজেপি বেড়ে যেত।"
[আরও পড়ুন: ধর্মীয় লাইনে প্রচার নয়, পাঁচ দফা ভোটের পর বিজেপিকে নির্দেশ কমিশনের, সতর্কবার্তা কংগ্রেসকেও]
অসমের তৃণমূল (TMC) নেত্রীর ব্যাখ্যা, যেহেতু বেশি আসনে তৃণমূল লড়ছে, বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় বেশি আসনে লড়ছেন মানে জয়ের সম্ভাবনা বাড়ছে। আর নির্বাচনটা তো পুরোটাই সংখ্যার খেলা। ইন্ডিয়া জোট বাংলা থেকে বেশি আসন চায়। আর সেটা সম্ভব হত শুধু মমতা বেশি আসনে লড়লেই। সেসব ভেবেই বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনওরকম সমঝোতা করা হয়নি।"