সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ভোট ঘোষণার সময়ই ইভিএম নিয়ে বিরোধীদের ঘুরিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন খোদ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তার পরই ইভিএম নিয়ে খানিক সুর নরম করল কংগ্রেস। দলের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলে দিলেন, ‘কংগ্রেস বা ইন্ডিয়া (INDIA) জোট ইভিএমের বিরোধী নয়। তবে যেভাবে ইভিএম ‘ম্যানিপুলেশন’ হচ্ছে, সেটার বিরোধী।’
কংগ্রেস (Congress) নেতা জয়রাম রমেশ এদিন বললেন,”গত ডিসেম্বরে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে আমরা সব দল মিলে এ নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আমরা ইভিএমের বিরোধী নই। আমরা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের বিরুদ্ধে নই, ইলেকট্রনিক ভোটিং ম্যানিপুলেশনের বিরুদ্ধে।” জয়রাম রমেশ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ইন্ডিয়া জোট ফের ব্যালটে ভোট চাইছে না। তাঁদের দাবি, ১০০ শতাংশ বুথে ভিভিপ্যাট ব্যবহার করতে হবে।”
[আরও পড়ুন: বাংলায় ৭ দফায় নির্বাচন, কোন লোকসভা কেন্দ্রে কবে ভোট? রইল পূর্ণাঙ্গ তালিকা]
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পর এই কংগ্রেসই প্রশ্ন তুলেছিল ইভিএম নিয়ে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত বিরোধী শিবির ইভিএমের বদলে ব্যালট ফেরানোর দাবি জানিয়ে এসেছে। কিন্তু লোকসভা ভোট ঘোষণার পর হঠাৎ সুর বদলে ফেললেন জয়রাম রমেশ। এই সুর নরম করার কারণ সম্ভবত নির্বাচন কমিশনারের কটাক্ষ। শনিবার ভোট ঘোষণার সময় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার শায়েরির সুরে বলেন, ”অধুরি হসরতো কা ইলজাম হর বার হম পর লাগানা ঠিক নেহি, বফা খুদ সে নেহি হোতি খতা ইভিএম কি কহতে হো।” অর্থাৎ নিজেদের অপূর্ণ ইচ্ছার কারণে ইভিএমকে (EVM) অভিযোগে বিদ্ধ করা ঠিক নয়। নিজের প্রতি বিশ্বাসের খামতির কারণে ইভিএমকে আক্রমণ করাটা অনুচিত।
[আরও পড়ুন: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি কেমন? চিনের মোকাবিলায় কতটা তৈরি ফৌজ? জানালেন সেনাপ্রধান]
তবে শুধু ইভিএম নয়, এদিন ইলেক্টোরাল বন্ড ইস্যুতেও বিজেপিকে তুলোধোনা করেছে কংগ্রেস। জয়রাম রমেশ বলেছেন, “চান্দা দো, ধান্দা লো, এই বিজেপির (BJP) নীতি। এক কোম্পানি, যার ২০ কোটি লাভ, সে কীভাবে ৪০০ কোটির বন্ড কেনে? এটা আর্থিক তছরুপ ছাড়া আর কিছু নয়। একদিকে আমাদের একাউন্ট বন্ধ, অন্যদিকে নিজেরা বন্ড নিয়ে যাচ্ছে। এটা কংগ্রেসের উপর আর্থিক সার্জিকাল স্ট্রাইক।”