সুদীপ রায়চৌধুরী: গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজ করতে যাওয়া ভোটকর্মীদের অভিজ্ঞতা বিশেষ মধুর নয়। তাঁদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে কোথাও কোথাও। এবার লোকসভা ভোটেও (Lok Sabha Election 2024) তাঁদের কাজ করতে হচ্ছে। দুদফা ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ। আরও পাঁচ দফা বাকি। তাতে যাতে নিরাপদে কাজ করতে পারেন ভোটকর্মীরা, তার জন্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে চেয়ে আজ নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে দেখা করলেন ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীরা। শুক্রবার তাঁরা অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঙ্গে দেখা করেছেন।
সন্দীপ রায় নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। তিনি ও তাঁর কয়েকজন সহকর্মী আজ নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের আবেদন, ''বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) ভোটকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁদের ভয় দেখানো হয়েছিল। আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে বুথে বুথে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে এবং ভিডিও রেকর্ডিং হবে। আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বলেছি কমিশনকে।'' তাঁদের আরও বক্তব্য, ''মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেছিলেন যে অস্থায়ী কর্মীদের ভোটের কাজে লাগানো হবে না। কিন্তু অস্থায়ী কর্মচারীদের দিয়েও ভোটের কাজ করা হচ্ছে। আমরা বলেছি, যারা এজেন্সির মাধ্যমে কাজ করছেন, তাদেরকে প্রিসাইডিং অফিসার করা হয়েছে।''
[আরও পডুন: রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্তে SET গঠন, শ্লীলতাহানির অভিযোগ ‘অবিশ্বাস্য’, দাবি জেলবন্দি পার্থর]
সরকারি কর্মীদের একাংশের দাবি, দক্ষিণ কলকাতার (Kolkata Dakshin) সমস্ত জায়গায় প্রিসাইডিং অফিসার এবং সেক্টর অফিসার তারা অস্থায়ী অফিসার। এছাড়া পশ্চিম মেদিনীপুর অনেক অস্থায়ী কর্মীদের ভোটের কাজে যুক্ত করা হচ্ছে। এছাড়া অনেক জায়গায় গ্রাম পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মীদেরও ভোটের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ '১২ জুলাই কমিটি' সদস্যদের। নির্বাচনী কাজের সঙ্গে যুক্তরা অনেক সময় ভোটও দিতে পারছেন না। পোস্টাল ব্যালটের ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে গোপনীয়তা থাকছে না। খাম সিল করা থাকছে না। এমনই নানা সমস্যার কথা তাঁরা তুলে ধরেছেন কমিশনের কাছে।
[আরও পড়ুন: ছিলেন ডাক্তার, হয়ে গেলেন দুধ বিক্রেতা! সিদুঁরদানের আগেই মুখোশ খুলল ‘গুণধরে’র, তার পর…]
সন্দীপ রায়ের কথায়, ''আমরা নির্দিষ্ট করে বলেছি, দক্ষিণবঙ্গে বেশি করে গন্ডগোল হয়। দুটি দফায় গন্ডগোল হয়নি বলে বাকি দফায় হবে না, তার কোনও গ্যারেন্টি নেই। মহিলা ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে আমরা বলেছি।'' সুবীর ভট্টাচার্য নামে আরেকজনের কথায়, ''আমরা একটা কথা বলেছি, এই সিইও অফিস কিন্তু রাজ্য সরকারের অধীনে আছে। সেটা আমরা স্মরণ করিয়ে দিয়েছি। আমরা মোট দশ দফা দাবি জানিয়েছি।''