সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গৌতম গম্ভীরের পর জয়ন্ত সিনহা। একই দিনে নির্বাচনী রাজনীতি থেকে অব্যাহতি চাইলেন বিজেপির দুই সাংসদ। তবে গম্ভীরের থেকে জয়ন্ত সিনহার নির্বাচনী রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানো বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ জয়ন্ত সিনহার আরেক পরিচয় হল দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহার ছেলে।
এদিন সোশাল মিডিয়ায় যশবন্ত সিনহা লেখেন, “আমি এখন দেশ তথা বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করতে চাই। এ বিষয়ে যাতে আরও নজর দিতে পারি, সেই উদ্দেশ্যে দলের সভাপতি জেপি নড্ডাকে চিঠি লিখে নির্বাচনী রাজনীতি থেকে অব্যাহতি চেয়েছি।” জয়ন্ত বলেন,”দীর্ঘ ১০ বছর ধরে হাজারিবাগের মানুষের সেবা করার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মানুষের আশীর্বাদ পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন সেজন্য ধন্যবাদ।”
[আরও পড়ুন: যার জন্ম হয়নি তারও জব কার্ড! ১০০ দিনের কাজে ‘তোলাবাজ’ তৃণমূলকে তোপ মোদির]
জয়ন্ত সিনহা একটা সময় বিজেপি নেতৃত্বের সুনজরে ছিলেন। ২০১৪ সালের পর তাঁকে অর্থদপ্তরের প্রতিমন্ত্রীও করেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তাঁর বাবা যশবন্ত সিনহা বিরোধী শিবির যোগ দেওয়ার পর থেকেই দলে কোণঠাসা হচ্ছিলেন। তাছাড়া বিজেপি এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের যে সমীক্ষা করেছে, সেটাতেও খুব একটা সুবিধাজনক জায়গায় নেই জয়ন্ত সিনহা। তিনি টিকিট পাবেন কিনা সেটা নিয়ে সংশয় ছিল। সেকারণেই সম্ভবত আগেভাগে সসম্মানে সরে দাঁড়ালেন তিনি।
[আরও পড়ুন: যার জন্ম হয়নি তারও জব কার্ড! ১০০ দিনের কাজে ‘তোলাবাজ’ তৃণমূলকে তোপ মোদির]
তাৎপর্যপূর্ণভাবে একই দিনে জাতীয় রাজনীতির দুই পরিচিত নাম গৌতম গম্ভীর এবং জয়ন্ত সিনহা ভোটে লড়তে চাইলেন না। লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আগে যা কিছুটা হলেও অস্বস্তি বাড়াবে গেরুয়া শিবিরের। অন্তত দেশবাসীর কাছে নেতিবাচক বার্তা যাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিজেপি অবশ্য বলছে, এমনিতেও দলের অনেক সাংসদ এবার টিকিট পাবেন না। তাই কারও ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্তে বিশেষ ফারাক হবে না।