সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯ এপ্রিল এবং ২৬ এপ্রিল। দুদফায় ভোট কেরলে। ঘটনাচক্রে দুদিনই শুক্রবার। ইসলাম ধর্মের পবিত্র প্রার্থনার দিন নির্বাচন কেন? আপত্তি তুলে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিল কেরল প্রদেশ কংগ্রেস।
কেরল কংগ্রেসের বক্তব্য, ভোট ঘোষণার আগে এই ব্যাপারগুলো খেয়াল রাখা উচিত ছিল কমিশনের। শুক্রবার এবং রবিবার ইসলাম এবং খ্রিস্টান ধর্মের পবিত্র প্রার্থনার দিন। এই দিনগুলিতে অন্তত সংখ্যালঘু প্রধান এলাকায় ভোট হতে পারে না। কারণ প্রার্থনার দিন ভোট হলে ভোটাররা যেমন সমস্যায় পড়বেন, তেমনি ভোটকর্মীরাও সমস্যায় পড়েন।
[আরও পড়ুন: যতকাণ্ড যোগীরাজ্যে, সরকারি টাকা হাতাতে দিদির কপালেই সিঁদুর দিলেন ভাই!]
কেরল প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি এম এম হাসান এবং কেরল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ভি ডি সতীশন নির্বাচন কমিশনে চিঠি লিখে ভোটের দিন বদলের দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা মূলত ২৬ এপ্রিলের বদলে অন্য কোনও দিন ভোট চাইছেন। আসলে কেরলের বেশিরভাগ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় ভোট ২৬ এপ্রিল। সেকারণেই ওই এলাকায় ২৬ এপ্রিলের বদলে অন্য কোনও দিন ভোট করার দাবি হাত শিবিরের। শুধু কংগ্রেস নয়, তাদের জোটসঙ্গী ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগও ওই একই দাবিতে সরব।
[আরও পড়ুন: আরও বিপাকে রামদেব, পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় সুপ্রিম তলব যোগগুরুকে]
আসলে কেরলে কংগ্রেসের মূল ভোটব্যাঙ্ক মুসলিম এবং খ্রিস্টানরা। নিজেদের সেই ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই সম্ভবত এই দাবি জানিয়েছেন কেরল কংগ্রেসের নেতারা। সমস্যা হল, কংগ্রেস সর্বভারতীয় দল। কেরল কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়তে পারে গোটা দেশেই। এমনিতেই সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগে হিন্দি বলয়ে কোণঠাসা হাত শিবির। এই চিঠির খবর প্রকাশ্যে এলে কংগ্রেসের প্রতি ক্ষোভ আরও বাড়তে পারে।