সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সক্রিয় রাজনীতি থেকে শত হস্ত দূরে বহুদিন হয়ে গেল। কিন্তু রক্তে তো তাঁর রাজনীতি। বামপন্থায় বিশ্বাস অক্ষুণ্ণ। অসুস্থতায় শয্যাশায়ী। বিছানায় শুয়েই ভোটের খবরাখবর রাখছেন। এই মুহূর্তে বাম প্রার্থীদের সবচেয়ে বড় অভিভাবক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার আলিপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে তাই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন কলকাতা দক্ষিণের সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। অশক্ত শরীরে তাঁকে দেখে হাসিমুখে আশীর্বাদ করলেন অশীতিপর বুদ্ধবাবু। বললেন, 'লড়তে হবে, জিততে হবে।'
বৃহস্পতিবার জেলা নির্বাচনী কার্যালয়ে মনোনয়ন পেশ করতে যান দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) এবং কলকাতার বাম প্রার্থীরা। গিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থীরাও। দুপক্ষ মুখোমুখি হওয়ায় সাময়িক অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়। হাতাহাতিতে জড়ান তৃণমূল ও সিপিএম (CPM) কর্মীদের সঙ্গে। সেসব কাটিয়ে সিপিএম প্রার্থী সায়রা হালিম, সৃজন ভট্টাচার্য, প্রতীক-উর রহমান, আরএসপি প্রার্থীরা মনোনয়ন পেশ করেন। আর তার পরই আলিপুর থেকে পাম অ্যাভিনিউতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর (Buddhadeb Bhattacharjee) বাড়ি পৌঁছে যান দক্ষিণ কলকাতার (Kolkata Dakshin) লালপার্টির প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী, সিপিএম নেতা ফুয়াদ হালিমও।
[আরও পড়ুন: রাহুল নেতৃত্ব ছাড়তে চাইলে আপত্তি জানাবে না লখনউ ম্যানেজমেন্ট! তুঙ্গে জল্পনা]
পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে তাঁদের স্বাগত জানান বুদ্ধদেবজায়া মীরা ভট্টাচার্য। সায়রা হালিম বুদ্ধবাবুর সঙ্গে দেখা করতে চান। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সেই ঘরে, যেখানে অসুস্থ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সারাদিন কাটান। তখন জেগেই ছিলেন অশীতিপর বাম নেতা। সায়রাকে আশীর্বাদ করেন তিনি। অসুস্থ শরীরেই জিজ্ঞাসা করেন, ''পরীক্ষা কবে?'' সায়রা জবাব দেন, ''১ জুন।'' তখন বুদ্ধবাবু বলেন, ''এই পরীক্ষায় জিততে হবে, লড়তে হবে।'' এর আগেও ভোটের সময় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ নিতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন মীনাক্ষী, দীপ্সিতারা। ইয়ং ব্রিগেডকে দুহাত তুলে জয়ের আশীর্বাদ দিয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। আর চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) AI-এর মাধ্যমে তাঁর কণ্ঠে বাম প্রার্থীদের জয়ী করার বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছিল সিপিএম।