সুদীপ রায়চৌধুরী: অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) নির্ঘণ্ট প্রকাশের পরই সেই নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারই সে কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশ না মেনে বাংলায় ভোট প্রশিক্ষণের কর্মশালায় চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের দিয়ে কম্পিউটার ব্যবহার সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলল সিপিএম (CPM)। তা নিয়ে সিপিএমের এক প্রতিনিধিদল কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে।
সোমবার কলকাতার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করেন সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ী, রবীন দেব-সহ চার সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। তাঁরা অভিযোগ করেন, শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের চুক্তিতে নিয়োগ করে ভোটের প্রশিক্ষণ (Training) দেওয়ানো হচ্ছে। এমনকী ভোটে তৃণমূলের হয়ে বিজ্ঞাপন তৈরির কাজ যে এজেন্সি করছে, তাদের কর্মীদের মাধ্যমেই বিভিন্ন জেলায় ভোটকর্মীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ চলছে। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেনারেল)-এর বিরুদ্ধেও তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করার অভিযোগ করেছে সিপিএম। বাস-অটোর মতো গণপরিবহণে নির্বাচনী হোর্ডিং লাগানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ শমীক লাহিড়ীদের। সিপিএমের বক্তব্য, বিধি অনুযায়ী বাণিজ্যিক কোনও যানে ভোটের প্রচার করা হলে সেই বাস বা অটোর উপার্জনকে নির্বাচনী ব্যয় হিসাবে ধরা উচিত।
[আরও পড়ুন: পড়াশোনা বিদেশে, লন্ডন থেকে CAA’র প্রতিবাদ, চেনেন ভোট ময়দানে নামা তৃণমূলের নয়া প্রার্থীকে?]
সুষ্ঠুভাবে ভোটপর্ব সম্পন্ন করতে এবার কমিশন একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকারি কর্মীদের ভোটের কাজে লাগানো নতুন নয়। তবে সরকারি সংস্থায় যেসব অস্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক কর্মী রয়েছেন, তাঁদের ভোটপ্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা যাবে না বলে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু সিপিএমের অভিযোগ, কমিশনের সেই নির্দেশ মানা হচ্ছে না বাংলায় এবং তার নেপথ্যে তারা বাংলার শাসকদল তৃণমূলকে (TMC) দায়ী করছে। যদিও সিপিএমের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে, তা জানা যায়নি এখনও।