রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: নতুন প্রজন্মের মন পেতে সোশাল মিডিয়া ট্রেন্ডে নিজেদের ভাসিয়েছে বামফ্রন্ট। গণসংগীত থেকে বেরিয়ে এসে সোশাল মিডিয়ায় নিজেদের ঐতিহ্য বাদ দিয়ে ‘টুম্পা সোনা’, 'জামাল কুদু'র মতো জনপ্রিয় গানের প্যারোডি তৈরি করেছে সিপিএম (CPM)। তরুণ প্রজন্মকে কাছে টানতে যা বড়সড় ভূমিকা নিয়েছে বলে মনে করেন বাম কর্মী, সমর্থকরা। সেসব নিয়ে আগেই বঙ্গ সিপিএমের অন্দরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এবার ভোট প্রচারে সিপিএম নিয়ে এল ‘র্যাপ’। যা নিয়ে নতুন করে তৈরি হল বিতর্ক।
একসময়ে বামেদের (Left Front) প্রচার, জনসংযোগ মানে ছিল গণসংগীত। কত নামীদামি শিল্পীরা এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে সেসব গণসংগীত আপাতত ব্যাকফুটে। জায়গা নিয়েছে জনপ্রিয় প্যারোডি, ‘র্যাপ’ (Rap) গান। চব্বিশের লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) সেই গানের ভাষা প্রয়োগ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হল সিপিএমের অন্দরে। ভাষা ব্যবহার নিয়ে দলের অন্দরেও অনেকে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। সিপিএমের অফিসিয়াল ফেসবুক (Facbook) পেজে এই র্যাপ গানটির নাম ‘চল ফোট’। গানের মধ্যে এমন অনেক শব্দ রয়েছে যেগুলি শিক্ষিত, ভদ্র সমাজে উচ্চারণ করে না বাঙালি। এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
[আরও পড়ুন: সেলিব্রিটি মোদি! ভোট দিয়ে গুজরাটিতে ভাষণ, খুদেদের হাতেই দিলেন সই]
দলেরও একাংশের বক্তব্য, বামেদের সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খায় না এই গান। উচ্চারণের অযোগ্য শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এই গানটি নিয়ে বিতর্কের দায় অবশ্য নিতে চাইছেন না সিপিএম নেতৃত্ব। সংবাদ মাধ্যমে সিপিএমের (CPM) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শমীক লাহিড়ীর বক্তব্য, ‘‘গানটা সিপিএমের পক্ষ থেকে হয়নি। যাঁরা গানটি তৈরি করেছেন তাঁরাই এ বিষয়ে বলতে পারবেন।’’ অর্থাৎ গানটি দলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে আপলোড হলেও ভাষা ব্যবহারের দায় নিতে চাইছেন না সিপিএম নেতারা। ফেসবুক পেজে চললেও পার্টির কর্মী-সমর্থকরা প্রচারে কতটা বাজাবেন, তা নিয়েও প্রশ্ন।