সুদীপ রায়চৌধুরী: লোকসভায় (Lok Sabha Election 2024) রেকর্ড সংখ্যাক কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হওয়ার কথা বাংলায়। মোট ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (central forces) আসার কথা। তবে প্রথম দফার তিন কেন্দ্র কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে প্রশাসনের অন্দরেই। তবে বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে আগেভাগেই সব বুথে ওয়েব কাস্টিং করার ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে কমিশন। এমনটাই সূত্রের খবর।
রাজ্যের প্রথম দফার ভোট ১৪ এপ্রিল। উত্তরবঙ্গে তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। তিনটি লোকসভা মিলিয়ে মোট বুথ সংখ্যা প্রায় ৫৪০০টি। তার মধ্যে রয়েছে কোচবিহার লোকসভা (Cooch Behar Lok Sabha)। বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামানিক (Nisith Pramanik) ও রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহর লড়াইয়ে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত কোচবিহার। যত দিন এগোচ্ছে, বাড়ছে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা। এমনটাই মত প্রশাসন কর্তাদের। কমিশনের পক্ষ থেকে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা প্রকাশ করা না হলেও , প্রাথমিক ভাবে অনুমান ওই লোকসভা কেন্দ্রগুলোতে ২০ শতাংশের কাছাকাছি বুথ স্পর্শকাতর। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক বিধানসভা এলাকায় ১৬-১৮ কোম্পানির বাহিনীর প্রয়োজন হয়। প্রত্যেক লোকসভা কেন্দ্রে থাকে ৭টি বিধানসভা। সব হিসাব কষলে তিনটি লোকসভায় প্রায় ৩৭৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন। তবে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের ওই তিন লোকসভা কেন্দ্রে সাকুল্যে ২৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাওয়া যাবে।
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলের নেতাদের হয়ে দালালি!’ পুলিশকে আঙুল উঁচিয়ে হুমকি সৌমিত্রর]
তার মধ্যে কিছু জওয়ান থাকবেন বুথে। কিছু কুইক রেসপন্স টিমে কাজ করবেন। কিছু জওয়ান রাজ্য পুলিশের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা দেখার দায়িত্বে থাকবেন। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি সব বুথে প্রয়োজনীয় বাহিনী ছাড়াই ভোট হবে? এখানেই উঠে আসছে নতুন সম্ভবনা। প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের ধারণা, প্রথম দফার নির্বাচনে রাজ্যের প্রতিটি বুথে ওয়েব কাস্টিং করা হতে পারে। যাতে অন্তত ভোটদান প্রক্রিয়ায় নজরদারি চালানো যায়। তবে সবটাই এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে। খুব তাড়াতাড়ি বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে জানাচ্ছেন কমিশন কর্তারা।