বাবুল হক, মালদহ: ভোটের মুখে মালদহে (Malda) বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে উদ্ধার নগদ প্রায় দু'লক্ষ টাকা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল এলাকায়। সেই টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে নির্বাচন কমিশনের ফ্লাইং স্কোয়াড টিম। নির্বাচন বিধি অনুযায়ী, এই সময় বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা নিয়ে যাওয়া যায় না।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শান্তনু ঘোষের গাড়ি থেকে ওই টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। টাকার উৎপত্তির প্রমাণ দেখানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন মালদহ শহরের বাসিন্দা ওই বিজেপি নেতা। উল্লেখ্য, কালো টাকার কারবারিদের 'স্বর্গরাজ্য' হিসাবে মালদহ দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের চারটি বিধানসভা এলাকাকে আগেই চিহ্নিত করেছে কমিশন। অতীতের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য, পরিসংখ্যান ও রিপোর্টের মাপকাঠিতে কমিশনের কাছে এমনই তকমা পায় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত দক্ষিণ মালদহের বিস্তীর্ণ এলাকা। এই লোকসভা নির্বাচনে 'ব্যয় সংবেদনশীল' বিধানসভা এলাকা হিসেবে কমিশনের তরফে চিহ্নিত করা হয়েছে সুজাপুর, মোথাবাড়ি, ইংলিশবাজার ও ফরাক্কা বিধানসভা কেন্দ্রকে। এই চার বিধানসভা নজরে রয়েছে ইডি-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় এজেন্সির। নজরদারি চালাতে জেলাজুড়ে প্রচুর সংখ্যক নাকা চেকিং পয়েন্ট চালু রয়েছে। মালদহ শহরের বিভিন্ন মোড়েও চালু রয়েছে নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থা।
[আরও পড়ুন: সেমিফাইনাল হেরে ক্ষুব্ধ, মোহনবাগান অধিনায়কের বিরুদ্ধে মারমুখী ওড়িশার ফুটবলাররা]
সোমবার বিকেলে ইংলিশবাজার শহরের রবীন্দ্র অ্যাভিনিউ দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন বিজেপি নেতা শান্তনু ঘোষ। সেই সময় নাকা চেকিং পয়েন্টে তাঁর গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় নগদ ১ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা। উদ্ধার হওয়া টাকা বাজেয়াপ্ত করে নির্বাচন কমিশন। বিজেপি নেতা শান্তনু ঘোষের কথায়, "আমি জীবন বিমা সংস্থায় কাজ করি। গাড়ি নিয়ে ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিতে যাচ্ছিলাম। রবীন্দ্র অ্যাভিনিউয়ে নাকা চেকিং করার সময় নির্বাচন দপ্তর ও পুলিশকর্মীরা গাড়ি আটকান। আমার সঙ্গে থাকা ১ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫০০ টাকার উৎপত্তি নিয়ে প্রশ্ন করেন। আমি তাঁদের জানাই, আমার ব্যবসা রয়েছে। এক পাওনাদারের অ্যাকাউন্টে এই টাকা জমা দিতে যাচ্ছিলাম। আমার ইনকাম ট্যাক্স, রিটার্ন-সহ টাকা উৎপত্তির প্রমাণ পেশ করেছি। ওনারা আপাতত টাকা বাজেয়াপ্ত করার কথা বলেছেন। পরবর্তীতে আরও সমস্ত প্রমাণ দেখিয়ে সেই টাকা আবার দাবি করতে হবে।" যদিও কমিশনের কর্তব্যরত আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই নেতা টাকার উৎস সম্পর্কে কোনও তথ্য ও প্রমাণ দেখাতে পারেননি। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।