অর্ণব দাস, বারাকপুর: রাজনীতিতে তিনি চিরযুবক! টাটকা-তাজা টোটকায় সংগঠনকে চাঙ্গা রাখেন। সর্বদা তাঁর ব্যবহার আর পরোপকারী ভূমিকার জন্য বিরোধীরাও তাঁকে পছন্দ করেন। তিনি কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। মাঝে অসুস্থতার কারণে রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে দেখা যাচ্ছিল না। কিন্তু লোকসভা ভোটের মাঝে ফের মদন-বাণ শুরু হয়েছে। শুক্রবার দমদমের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়ের সমর্থনে কামারহাটিতে শ্রমিক সংগঠনের সভায় মদন মিত্র আবারও দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করলেন। বললেন, ''তাজা থাকুন। ভোটের দিন সকাল ৬টায় নির্দেশ চলে যাবে, কীভাবে ভোট করাতে হবে।''
আগামী ১ জুন, কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের সঙ্গে বরানগরের উপনির্বাচন। তাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee)। তাঁর সঙ্গে লড়াই বিজেপির সজল ঘোষ এবং সিপিএমের তন্ময় ভট্টাচার্যর। নামঘোষণার পর থেকেই সায়ন্তিকা লাগাতার বরানগরে প্রচার, জনসংযোগ করছেন। তিনি মদন মিত্রর (Madan Mitra) বাড়ি গিয়েও ভোট সংক্রান্ত পরামর্শ নিয়েছেন। বিজেপির তরফে সায়ন্তিকার উদ্দেশে নানা কটূ মন্তব্য করা হয়। শুক্রবার কামারহাটির জনসভা থেকে তারই পালটা জবাব দিলেন মদন মিত্র।
[আরও পড়ুন: গাড়ি নেই, বাড়িও নেই! কত সম্পত্তির মালিক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়]
এর আগে সায়ন্তিকাকে 'অ্যাকোয়াটিকা'র সঙ্গে তুলনা করা বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষকে বিঁধে মদনের খোঁচা, ''একটা ছোট্ট ফুটফুটে মেয়ে, তার নাম সায়ন্তিকা। তাকে বলছে, 'সায়ন্তিকা না, ও তো অ্যাকোয়াটিকা।' সায়ন্তিকা অ্যাকোয়াটিকা, ইকোপার্ক না নিকোপার্ক - ওটা আমি ১ জুন তোমাদের বুঝিয়ে দেব। আমি তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলছি, তাজা হয়ে তৈরি থাকুন। ভোর ৬টার সময় নির্দেশ পেয়ে যাবেন, কী করতে হবে ভোটের দিন। কীভাবে মানুষকে সাহায্য করতে হবে ভোট দেওয়ার জন্য। জেনে রাখবেন, পৃথিবীতে কারও ক্ষমতা নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডানা ছেঁটে দেয় পশ্চিমবঙ্গে।''
[আরও পড়ুন: শিক্ষিকার চাকরির টোপ দিয়ে শ্লীলতাহানি! রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগকারিণী]
এদিনের সভায় মদনের আক্রমণের নিশানায় ছিল সিপিএমও। এবারের লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) দমদম কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়ের প্রতিপক্ষ সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। তাঁকে কটাক্ষ করে তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য, ''সিপিএম বলতে আমি বুদ্ধবাবুকে বুঝি। তাঁরা সিপিএম দলটা করতেন। কিন্তু এঁরা কোন সিপিএম? দাঁত বের করে হাসতে হাসতে সেলিম চলে গেলেন মুর্শিদাবাদে লড়াই করতে। আর সুজন পাকা চুল নিয়ে এখানে লড়তে এসেছেন। আমি বলি, একটু অপেক্ষা করুন। পাকা চুল কালো করে পাঠিয়ে দেব।'' মদনের এই খোঁচা অবশ্য হেসে উড়িয়েছেন সুজনবাবু। হাসতে হাসতে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ''মদনবাবুকে শুভেচ্ছা জানাই। পরিচয় আছে, বিধানসভায় দেখা হয়। কিন্তু আমার পাকা চুল কালো করতে আগ্রহী নই। যা স্বাভাবিক, সেটাই ভালো। আমার চুল পাকাই থাকুক। যার কালো চুল, তা কালোই থাকুক। আমি আর বাকিদের মতো পাকা চুল কালো করতে পছন্দ করি না।''
দেখুন ভিডিও: