গোবিন্দ রায়: কলকাতা হাই কোর্টে স্বস্তি বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের(Abhijit Ganguly)। তমলুকের বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে আপাতত কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না, নির্দেশ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের। আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত বিজেপি প্রার্থী এবং অন্য মামলাকারী প্রশান্ত দাসকে তদন্তের স্বার্থে ডাকা যাবে না। আগামী ১২ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজিওয়ালের মামলায় সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নেওয়া পদক্ষেপই অনুসরণ করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের তরফে জানানো হয়, নির্বাচনী বিধি জারি থাকাকালীন প্রার্থীকে কোনওভাবে বিরক্ত করা যাবে না। আদালত মনে করে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট তাকে জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে যে যুক্তি দিয়েছে, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। তমলুকের সিজেএম বক্তব্য অনুযায়ী, যে সব অভিযোগ তুলে FIR দায়ের করা হয়েছে, পুলিশের আগে সেইসব অভিযোগের সত্যতা খুঁজে দেখা উচিত ছিল। হাই কোর্ট এই বিষয়টিও উল্লেখ করে রায়ে। দুপক্ষকে নিজেদের বক্তব্য জানিয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে বলেই জানিয়েছে হাই কোর্ট। আগামী ১২ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি।
[আরও পড়ুন: যৌনকেশ কি সঙ্গমের মাত্রা বাড়ায়? জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের মত]
উল্লেখ্য, গত ৪ মে, শনিবার তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মনোনয়ন জমা দেন। তমলুকের রাজবাড়ি ময়দান থেকে বর্ণাঢ্য পদযাত্রা বেরয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দলীয় প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য নেতানেত্রীরাও তাতে অংশ নেন। হাসপাতাল মোড়ে মিছিল পৌঁছনোর পর ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। কারণ, এই হাসপাতাল মোড় এলাকাতেই চাকরিহারাদের নিয়ে তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছিল। অভিযোগ ওঠে, অনশনরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর প্রত্যক্ষ প্ররোচনাতেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলেই অভিযোগ।
তার পরদিন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, ময়নার তিলখোজা এলাকার প্রশান্ত দাস-সহ অন্তত ৫০ জনের বিরুদ্ধে তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি মইদুল ইসলাম। সেই এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। মঙ্গলবার মামলার শুনানির দিন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ওই মামলাতেই বৃহস্পতিবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে স্বস্তি দিল হাই কোর্ট।