সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার দেশজুড়ে প্রথম দফার নির্বাচন (Lok Sabha 2024)। শুরু হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের উৎসব। দেশের ১৭টি রাজ্য এবং চারটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ভোট হবে ১০২টি আসনে। সাত দফার মধ্যে প্রথম দফাতেই সবচেয়ে বেশি আসনে ভোট হচ্ছে। এই তালিকায় আছে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি কেন্দ্র।
প্রথম দফায় বাংলার বাইরে ভোট হবে অরুণাচল প্রদেশ (২), অসম (৫), বিহার (৪), ছত্তিশগড়়(১), মহারাষ্ট্র (৫), মণিপুর (১), মেঘালয় (২), মিজোরাম (১), নাগাল্যান্ড (১), রাজস্থান (১২), সিকিম (১), তামিলনাড়ু (৩৯), ত্রিপুরা (১), উত্তরপ্রদেশ (৮), মধ্যপ্রদেশ (৫), উত্তরাখণ্ড (৫), আন্দামান ও নিকোবর (১) জম্মু ও কাশ্মীর (১) লাক্ষাদ্বীপ (১) পুদুচেরির (১) মতো রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। লোকসভার পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশের ৬০ এবং সিকিমের ৩২টি বিধানসভা আসনেও ভোট হবে।
[আরও পড়ুন: সোমবার থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজ্যের স্কুলগুলোতে গরমের ছুটি, জারি বিজ্ঞপ্তি]
নির্বাচন কমিশন (Election Commission) জানিয়ে দিয়েছে, প্রথম দফায় সুষ্ঠুভাবে ভোট করাতে সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে প্রথম দফার ভোট কমিশনের জন্য চ্যালেঞ্জিং। কারণ এই দফায় মণিপুরের সম্পূর্ণ একটি কেন্দ্রে এবং আংশিকভাবে আরেকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। কদিন আগে পর্যন্ত গোষ্ঠী সংঘর্ষে আগুন জ্বলেছে এই মণিপুরে। গোটা ইনার মণিপুরে (Manipur) ভোট হলেও আউটার মণিপুরের শুধু চূড়াচাঁদপুর এবং চান্দেল জেলার ১৫টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে শুক্রবার। বাকি ১৩টিতে ভোটগ্রহণ হবে ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায়। মণিপুরের পাশাপাশি ছত্তিশগড়ের মাওবাদী উপদ্রুত অঞ্চলেও ভোটের দিন হিংসার আশঙ্কা। ছত্তিশগড়েও বিপুল পরিমাণ নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন।
[আরও পড়ুন: উত্তরে প্রকৃতির দুই রূপ, হাঁসফাঁস গরমে পুড়ছে সমতল, তুষারের চাদরে ঢেকেছে সিকিম]
লোকসভায় যে ৭ দফায় ভোট হবে তার মধ্যে প্রথম দফায় সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বিজেপির জন্য। ২০১৯ সালে ১০২টি আসনের মধ্যে মোট ৪৫টিতে জিতেছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। বিজেপির (BJP) একার স্ট্রাইক রেট ছিল ৩৯ শতাংশ। ৪০০ আসনের টার্গেট পূরণ করতে হলে এই পর্বেই স্ট্রাইক রেট সবচেয়ে বেশি বাড়াতে হবে গেরুয়া শিবিরকে। চ্যালেঞ্জটা কঠিন। কারণ তামিলনাড়ুর ৩৯ আসনের অধিকাংশতেই বিজেপি এবার লড়াইয়ে নেই। আবার মহারাষ্ট্রে বহুদলীয় লড়াইয়ে কে কাকে মাত দেবে, এখনই বলা মুশকিল। যে রাজস্থানে গত দুই নির্বাচনে বিজেপি সব আসন জিতে আসছে, সেই রাজস্থানেও এবার স্থানীয় স্তরে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা দেখা যাচ্ছে। ফলে গেরুয়া শিবিরের লড়াই কঠিন।