সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র উৎসবের দ্বিতীয় পর্ব। শুক্রবার দেশের ১৩ রাজ্যের ৮৯ আসনে ভোটগ্রহণ। এই পর্বেই ভোট এরাজ্যের তিন কেন্দ্র দার্জিলিং, বালুরঘাট, রায়গঞ্জে। তিনটি কেন্দ্রই ২০১৯-এ বিজেপির দখলে ছিল। নিজেদের গড় ধরে রাখার লড়াই বিজেপির সামনে।
বাংলা ছাড়াও অসম(৫), বিহার(৫), ছত্তিশগড়়(৩), কর্নাটক(১৪), কেরল(২০), মধ্যপ্রদেশ(৭), রাজস্থান(১৩), ত্রিপুরা(১), উত্তরপ্রদেশ(৮), জম্মু ও কাশ্মীর(১) ও মহারাষ্ট্রে(৮) ভোট শুক্রবার। আগের পর্বে মণিপুরের আউটার মণিপুর কেন্দ্রে ভোট হয়েছিল আংশিকভাবে। ওই আউটার মণিপুরের বাকি অংশেও এই পর্বে ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচন কমিশন (Election Commission) জানিয়ে দিয়েছে, এই দফায় সুষ্ঠুভাবে ভোট করাতে সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে দ্বিতীয় দফার ভোট(Lok Sabha Elections 2024) কমিশনের জন্য চ্যালেঞ্জিং। কারণ যে রাজ্যগুলিতে ভোট হচ্ছে, তার অধিকাংশেই প্রবল তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ইভিএম-ভিভিপ্যাট ১০০ শতাংশ মিলিয়ে দেখার দাবি, কমিশনের থেকে ব্যাখ্যা চাইল সুপ্রিম কোর্ট]
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই পর্বে যে যে রাজ্যে ভোট হচ্ছে, তাতে কংগ্রেস, বিজেপি দুই শিবিরেরই নির্বাচন ভাগ্য অনেকাংশে নির্ধারিত হতে পারে। কেরলের সবকটি আসনে ভোট এই পর্বে। এই কেরলে ১৯টি আসনেই আগেরবার জিতেছিল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট। কর্নাটকের অর্ধেক আসনেও ভোট শুক্রবার। এই কর্নাটকে সদ্যই সরকার গড়েছে কংগ্রেস। সে রাজ্যে আগেরবার ২৮টির মধ্যে ২৬ আসন জিতেছিল বিজেপি জোট। সেই আসন ধরে রাখা বিজেপির জন্য চ্যালেঞ্জ। উত্তরপ্রদেশে এবং বিহারে আগের পর্বে অনেক কম ভোট পড়েছিল, যা চিন্তায় ফেলেছে গেরুয়া শিবিরকে। বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জ এই রাজ্যগুলিতে নিজেদের কোর ভোটারদের বুথমুখী করা। মহারাষ্ট্রে শিব সেনা এবং এনসিপি ভাঙার পর এই প্রথম নির্বাচন। সেরাজ্যেও নজর থাকবে।
[আরও পড়ুন: ভোটের মাঝে ৫ কোটি টাকা চেয়ে উদয়ন গুহকে চিঠি KLO’র, তুমুল চাঞ্চল্য]
এই পর্বে একাধিক হেভিওয়েটের ভাগ্য নির্ধারণ। এর মধ্যে রয়েছেন রাহুল গান্ধী, শশী থারুর, রাজীব চন্দ্রশেখর, অরুণ গোভিল, হেমা মালিনীদের। প্রথম পর্বে ভোটের হার কমেছিল প্রায় ১০ শতাংশ। এই পর্বে কত ভোট পড়ছে, সেদিকে নজর থাকবে সব পক্ষের।