নন্দিতা রায় ও সোমনাথ রায়: লোকসভার (Lok Sabha Elections 2024) আগে বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে মরিয়া কংগ্রেস। আবার নিজেদের আসনের দাবি থেকেও সরতে নারাজ হাত শিবির। স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেসের (Congress) প্রস্তাব মানা সম্ভব হচ্ছে না তৃণমূলের পক্ষে। রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে জোট করতে চেয়ে নতুন যে প্রস্তাব হাত শিবিরের তরফে পাঠানো হয়েছে, সেটাও কার্যত নাকচ করে দিল তৃণমূল।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, আসনরফা নিয়ে তৃণমূলকে (TMC) নয়া প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। প্রস্তাব অনুযায়ী, বাংলার ৪২ আসনের মধ্যে ৬টি আসন চাইবে কংগ্রেস। তৃণমূল আগে জানিয়ে দিয়েছিল, বাংলায় কোনওভাবেই দুইয়ের বেশি আসন ছাড়া হবে না হাত শিবিরকে। কিন্তু কংগ্রেস সূত্রের দাবি, বাংলায় আসনের বদলে অন্য রাজ্যে যদি তৃণমূলকে কিছু আসন দেওয়া হয়, তাহলে বাংলায় পাঁচ আসন ছাড়তে রাজি হয়ে যেতে পারে তৃণমূল। শুক্রবারও কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh) জানিয়েছেন, “মমতার সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। দরজা বন্ধ হয়নি। বারবার বলে এসেছি, এখনও বলছি। কোনও কিছুই চূড়ান্ত হয়নি, তবে চলছে। বাংলায় যে ছয়দিন ছিলাম, বারবার বলেছি। আপনারা শোনেনি বা বিশ্বাস করেননি। সপা, আপ নিয়েও আপনারা একই কথা বলেছেন, সমঝোতা হয়ে গেল তো? তৃণমূলের কে কী বলছে জানি না, ওদের সুপ্রিম নেত্রী বারবার বলে এসেছেন উনি ‘ইন্ডিয়া’র সঙ্গে আছেন। বিজেপিকে রুখতে সর্বতোভাবে লড়াইয়ে আছেন। এরপরও আপনাদের এত প্রশ্ন কেন?”
[আরও পড়ুন: ‘এমন সত্যি যা শিহরিত করে’, সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের নিয়ে তথ্যচিত্র প্রকাশ বিজেপির]
সত্যিই কি তাই? তৃণমূলও কি কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে? দলীয় সূত্র কিন্তু কংগ্রেসের দাবি অস্বীকার করছে। নাম জানাতে অনিচ্ছিক তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা জানাচ্ছেন, কংগ্রেসের এই ধরনের বক্তব্যের কোনও সারবত্তা নেই। তাছাড়া বাংলায় দূরবীন দিয়ে খুঁজলেও এমন তৃতীয় আসন পাওয়া যাবে না, যেখানে কংগ্রেস জিততে পারে। তবে যদি কোনও রফা হয়, সেটা দ্রুত জানিয়ে দেওয়া হবে।”
[আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণরেখায় ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি চিনা জওয়ানদের! ভাইরাল ভিডিও]
তৃণমূল নেতার ওই বক্তব্য নিয়ে আবার পাল্টা প্রশ্ন করা হয় জয়রাম রমেশকে। এই বক্তব্যের পরও কংগ্রেস আশাবাদী। জয়রাম রমেশ বলছেন, “তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এটাও বলেছেন যে, তৃণমূল ইন্ডিয়া জোটের অবিচ্ছেদ্য শরিক। রাজনীতিতে এই ধরণের কথা চলতেই থাকে। রাজনীতিতে দু-দিন অনেক বড় সময় হয়।”