সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটপ্রচারের জন্য তৈরি ব্যানারে কোনও লুকোছাপা রাখা যাবে না। কোনও ব্যানার বা হোর্ডিং বা অন্য কোনও ভোটপ্রচারের সামগ্রী কোথা থেকে ছাপা হচ্ছে, স্পষ্ট করে জানাতে হবে। নয়া নির্দেশিকা দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। কমিশনের নয়া নির্দেশ ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্নও।
কমিশন বলছে ভোটপ্রচারে কোন রাজনৈতিক দল কত টাকা খরচ করছে? সে বিষয়ে স্বচ্ছতা প্রয়োজন। ভোটের প্রচারে ব্যবহৃত বড় বড় হোর্ডিং, ব্যানারের টাকা কোথা থেকে আসছে। আদৌ ওই টাকা হিসাবের মধ্যেকার? নাকি ব্যবহৃত হচ্ছে হিসাব বহির্ভূত টাকা? সব নজর রাখতে চায় কমিশন। সেই লক্ষ্যেই এবার সব রাজনৈতিক ব্যানার, এবং হোর্ডিংয়ের উৎস জানতে চাইছে কমিশন।
[আরও পড়ুন: অনুপম খেরের ‘মোদি স্তুতি’ সত্ত্বেও টিকিট পেলেন না কিরণ]
নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হচ্ছে, কোথা থেকে ব্যানার ছাপা হয়েছে, বা ওই ব্যানারের উৎস কী? সেসব যদি স্পষ্ট করে না লেখা থাকে তাহলে সেই ব্যানার লাগানো যাবে না। ভোটের প্রচারে ব্যানার ব্যবহার করতে হলে, ওই ব্যানারেই স্পষ্ট করে তার উৎস লেখা থাকতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে প্রয়োজন ওই ছাপাখানায় খোঁজ নেওয়া যায়। এতে রাজনৈতিক দলগুলির আর্থিক লেনদেনের হিসাব পাওয়া যাবে।
[আরও পড়ুন: ‘হিংস্র’ প্রজাতির কুকুরদের এখনই নিষিদ্ধ নয়, কেন্দ্রের নির্দেশ খারিজ করে কী বলল হাই কোর্ট?]
কমিশনের এই নতুন নির্দেশিকাতেও প্রশ্ন উঠছে। বিরোধীদের আশঙ্কা, ব্যানার- হোর্ডিংয়ে ছাপাখানার ঠিকানা লিখতে হলে ওই ছাপাখানাগুলি শাসক শিবিরের রোষে পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে পরবর্তী কালে ব্যানার বা হোর্ডিং ছাপাটাই তাদের পক্ষে সমস্যার হয়ে দাঁড়াবে। তাছাড়া ভোটপ্রচারের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও গোপনীয়তা থাকা উচিত।