সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৬৫ বছর বয়সে ফের নতুন ইনিংস শুরু করলেন কীর্তি আজাদ (Kirti Azad)। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Polls 2024) বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন ক্রিকেটার। রাজনীতিতে হাতেখড়ি বিজেপিতে হলেও, দিল্লি ক্রিকেট নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। তবে এবারের লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী ঘোষণা করে দিল রাজ্যের শাসক দল। ব্রিগেড মঞ্চে তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পর টেলিফোনে সংবাদ প্রতিদিন.ইন-কে প্রতিক্রিয়া জানালেন ‘কপিলস ডেভিলস’-এর অন্যতম সদস্য।
বলছিলেন, “প্রয়াত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে পার্লামেন্টে আসার পর থেকেই মমতা দিদি-র সঙ্গে আমার পরিচয়। আমার বাবা ভগবত ঝাঁ আজাদ সেই সময় ক্যাবিনেটে অন্যতম মন্ত্রী ছিলেন। বাবার সূত্রেই দিদির সঙ্গে আলাপ। এর পর দিদি আমাকে অনেকবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতেন। কিন্তু আমি সেই সময় নরেন্দ্র মোদির প্রেমে অন্ধ ছিলাম। কিন্তু পরবর্তী সময় বিজেপি-র বিরুদ্ধে মুখ খুলে পার্টি থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর থেকেই আমি দিদি-র সৈনিক।”
[আরও পড়ুন: ইউসুফকে রাজনীতিতে স্বাগত জানালেন লক্ষ্মীরতন, বন্ধুর জন্য প্রচারে নামবেন মনোজ]
অবশ্য বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই নিজের এলাকা সম্পর্কে ধারণা তৈরি করছিলেন কীর্তি। দুর্গাপুরের একাধিক জায়গায় পরিদর্শন করছেন তিনি। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতেও দেখা গিয়েছে কীর্তি আজাদকে। আর তাই হয়তো বহিরাগত তত্বকে মেনে নিতে রাজি নন একদা সুনীল গাভাসকর-কপিল দেবের সতীর্থ।
ফের বললেন, “কীসের বহিরাগত! আমার বাড়ি দিল্লিতে বলে অনেক এই কথাগুলো বলতেই পারেন। কিন্তু কিছুই যায় আসে না। কারণ যেখান থেকে নির্বাচনে লড়াই করব সেখানকার সমস্যা আমি জানি। প্রতি মুহূর্ত আমার লোকসভা অঞ্চলের সব বিধায়ক ও অন্য পার্টি কর্মীদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনায় বসেছি। এবার শুধু প্রচারে নেমে যাওয়ার অপেক্ষা।”
কীর্তি আজাদের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিরোধী দল আসরে নেমে পড়েছে। যদিও সেসব ভাবতে নারাজ তিনি। কীর্তি ফের বললেন, “আগামী ৬ মাসে আমার ইচ্ছা থাকবে আরও ভালো করে বাংলা বলতে শেখা। নরেন্দ্র মোদি এসে বাংলায় বলেছিলেন, নিজে খাবো না কাউকে খেতে দেব না। যে রাজ্যে ক্ষমতা নেই সেখানে ভাইয়ের সঙ্গে ভাইয়ের লড়াই করিয়ে দাও! গ্যাসের দাম বাড়িয়ে ৪০০ টাকা থেকে করে ১২০০ টাকা করেছে। সেখানে ১০০ টাকা কমিয়ে কি হবে? বিজেপির এই নীতি আমি মানতে পারিনি। আমি খুব খুশি যে বিজেপি থেকে সরিয়ে দিয়েছে, আর দিদি আমাকে আপন করে নিয়েছে। কারণ এখানে দিদি আছে। তাঁর ওয়ারেন্টি আছে।”