সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে গর্জে উঠেছিলেন কমল হাসান। মাক্কাল নিধি মাইয়াম দলের সুপ্রিমো সিএএ-কে বিজেপির লোকসভা ভোট জেতার হাতিয়ার হিসেবেই দেখছেন। আর বুধবার, ৩ এপ্রিল ভোটপ্রচারের ময়দানে সোজাসুজি হুঙ্কার ছাড়লেন, "মোদি হঠাও, দেশ বাঁচাও।"
এদিন ভিসিকে প্রেসিডেন্ট থল তিরুমাভালাবানের হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন। সেখানেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান কমল হাসান। তামিলনাড়ুর জনতার কাছে মাক্কাল নিধি মাইয়াম দলনেতার আর্জি, "বিজেপিকে আর সুযোগ দেবেন না। এঁরা গণতন্ত্র বিরোধী। দেশের বুদ্ধিজীবী সমাজ উদ্বিগ্ন এই ভেবে যে, বিজেপি বারবার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, আদর্শের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর আমাদের মতো যোদ্ধাদের এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা উচিত। তাই দেশে গণতন্ত্র বজায় রাখার বিজেপিকে আর সুযোগ দেবেন না। এরা যদি আবার ক্ষমতায় আসে, তাহলে দেশ আবার গণতান্ত্রিক আদর্শ থেকে বঞ্চিত হবে।"
[আরও পড়ুন: ‘একজন বয়স্ক মহিলাকেও ছাড়ল না!’, দলের ‘অগ্রজ’ হেমার হয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ কঙ্গনার]
২০১৮ সালে নিজের দল মাক্কাল নিধি মাইয়াম গড়েছিলেন কমল হাসান। আর তার পরের বছরই লোকসভা ভোটে তামিলনাড়ুর ৩৯টির মধ্যে ৩৭টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল এই দল। কিন্তু একটিতেও জিততে পারেনি কমলের দল। সর্বসাকুল্যে সাড়ে তিন শতাংশ ভোট পেয়েছিল। অন্যদিকে একুশের বিধানসভা ভোটে কোয়েম্বাটুর দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে মাক্কাল নিধি মাইয়ামের সুপারস্টার সুপ্রিমো লড়লেও প্রায় দেড় হাজার ভোটের মার্জিনে বিজেপি-এডিএমকে জোট প্রার্থীর কাছে পরাস্ত হন।
সম্প্রতি সিএএ প্রসঙ্গে কমল হাসান (Kamal Haasan) বলেন, “লোকসভা ভোটে জেতার জন্য মরিয়া হয়ে বিজেপি সরকার এত তাড়াহুড়ো করে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এসেছে। এই বিজ্ঞপ্তি জারি করার সময়টাই তো প্রশ্ন তুলে দেয়, যেখানে সুপ্রিম কোর্ট এখনও এই আইনের সাংবিধানিক বৈধতা নির্ধারণ করছে।”