সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাদল অধিবেশনের শুরুর দিন থেকেই পেগাসাস (Pegasus) ইস্যুতে উত্তাল সংসদ। বৃহস্পতিবারও তার ব্যতিক্রম হল না। দফায় দফায় উত্তপ্ত হল সংসদের দুই কক্ষ। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে অনড় বিরোধীরা। কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীও (Adhir Chowdhury) এই দাবিই জানালেন। এমন পরিস্থিতিতে দুই কক্ষেই বিরোধী দলের অনেক সদস্যের মুখেই শোনা গেল ‘খেলা হবে’ স্লোগান।
এদিকে বুধবার তাঁর দিকে যেভাবে কাগজ ছুঁড়েছেন বিরোধী সাংসদরা, তাতে তিনি ‘মর্মাহত’ হয়েছেন বলে জানান লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla)। যে সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের সকলের উদ্দেশে স্পিকার বলেন, ‘‘আপনারা যদি সংসদীয় রীতিনীতির খেয়াল না রাখেন তাহলে কী করে সংসদীয় প্রক্রিয়া শক্তিশালী হবে? আমি জানতে চাই বুধবার যেটা হয়েছে সেটার সঙ্গে সংসদের রীতিনীতির কোনও সম্পর্ক আছে কি?’’
[আরও পড়ুন: কবে রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে কাশ্মীর? সংসদে জানাল কেন্দ্র]
বুধবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী অভিযোগ জানিয়েছিলেন, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে সরকার। এদিন বহরমপুরের সাংসদ বর্ষীয়ান নেতা অধীরের গলাতেও ছিল সেই সুর। তিনি মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে অভিযোগ করেন, ‘‘সরকারের জেদের কারণেই পেগাসাস ইস্যু নিয়ে সংসদে আলোচনা হচ্ছে না।’’ বৃহস্পতিবার কেবল পেগাসাস ইস্যু নয়, তার সঙ্গে কৃষি আইন ও অন্যান্য বহু বিষয়েই প্রতিবাদে সরব হতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। এদিন সংসদের গান্ধীমূর্তির পাদদেশেও বিক্ষোভ দেখান বিরোধী সাংসদরা।
বিরোধীদের পালটা চাপে রাখতে সরকারও তোপ দাগা শুরু করেছে। এদিন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বিরোধীদের উদ্দেশে কটাক্ষ করে বলেন, স্পিকার, চেয়ারম্যান ও সরকারের অনুরোধ সত্ত্বেও বিরোধীরা অনড় ভঙ্গিতে রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘ওরা যে বলছে আমরা সংসদ চালাতে দিচ্ছি না তা মিথ্যা কথা। রাজ্যসভায় তো করোনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে লোকসভায় এই বিষয়ে ওরা কথা বলতে চাইছে না।’’