সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনৈতিক পালাবদলের পর প্রথমবার। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনুস। বিমস্টেক সম্মেলনের ফাঁকেই মুখোমুখি হলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। উল্লেখ্য, চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছেন ইউনুস। চিন সফরে গিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তিনি। এহেন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেই ইউনুসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসলেন মোদি।
গত আগস্ট মাস থেকে পদ্মা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে বাংলাদেশে। ব্যাপক গণ আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রীর গদি হারিয়েছেন শেখ হাসিনা। আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আর এই রাজনৈতিক পালাবদলে ধাক্কা খেয়েছে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর বন্ধুত্ব। এমনকি পদ্মাপাড়ে যেভাবে নৃশংস অত্যাচার হয়েছে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর, তার প্রবল নিন্দা করেছে ভারত। চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছে বিদেশমন্ত্রক।
দিনকয়েক আগে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে আরও অবনতি হয় ইউনুসের মন্তব্য ঘিরে। চিন সফর থেকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে ইউনুসকে বলতে শোনা যায়, “ভারতের পূর্ব প্রান্তের সাতটি রাজ্য, যাদের সেভেন সিস্টার্স বলা হয়। ওই বিরাট অঞ্চল কিন্তু পাহাড় আর স্থলভাগে ঘেরা। সমুদ্রপথে যোগাযোগ করার উপায়ই নেই তাদের। বাংলাদেশই হল সমুদ্রপথের রাজা। তাই ওই এলাকায় চিনা অর্থনীতির বিস্তার ঘটতেই পারে।” উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মোংলায় আরেকটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কথা ইতিমধ্যেই ভেবে ফেলেছে চিন। সেদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে ইউনুসের এই মন্তব্যের সরাসরি বিরোধিতা না করলেও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর পালটা কড়া বার্তা দিয়েছেন।
এহেন পরিস্থিতিতে ঢাকার তরফ থেকেই বারবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আবেদন জানানো হয় ভারতের কাছে। বিমস্টেক সম্মেলনের ফাঁকেই অবশেষে বৈঠকে বসেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। যদিও আগের দিন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংত্রাম শিনওয়াত্রার আয়োজিত নৈশভোজে পাশাপাশি বসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু দুজনের কোনও কথা হয়নি। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতন নিয়ে কি কথা হবে?