সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর ইস্তফার পর কংগ্রেসে যেন গেল গেল রব। দলের পরবর্তী সভাপতি খুঁজে পেতে রীতিমতো নাস্তানাবুদ পরিস্থিতি শীর্ষ নেতাদের। কংগ্রেস সূত্রের খবর, দলের পরবর্তী সভাপতি হতে পারেন মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং সুশীল কুমার শিণ্ডের মধ্যে একজন। কিন্তু, এরা দু’জনেই রীতিমতো বৃদ্ধ। একজনের বয়স ৭৬ বছর, অপরজনের ৭৭। দলের সভাপতি হিসেবে যখন দুই বর্ষীয়ান নেতার নাম প্রকাশ্যে আসছে, তখন দলেরই এক মুখ্যমন্ত্রীর গলায় উলটো সুর। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং মনে করছেন, কংগ্রেসকে বাঁচাতে পারে একমাত্র তরতাজা তরুণ কোনও মুখ।
[আরও পড়ুন: বিতর্ক পিছনে ফেলে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই বায়ুসেনার হাতে আসছে রাফালে যুদ্ধবিমান]
লোকসভা ভোটে ভরাডুবির দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন রাহুল গান্ধী। পদ ছেড়েছেন দলের একাধিক পদাধিকারী। অথচ দলের তথাকথিত বৃদ্ধ ব্রিগেডের কেউই পদ ছাড়ার নাম নেননি। কংগ্রেস সূত্রের খবর, এই প্রবীণদের উপর বীতশ্রদ্ধ হয়েই দলের দায়িত্ব ছেড়েছেন রাহুল গান্ধী। লোকসভার ফলাফলের পর দলের কোর কমিটির বৈঠকে প্রকাশ্যেই রাহুল বলেছিলেন, কিছু নেতা নিজেদের ছেলে-মেয়েদের জেতাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। সার্বিক ফলাফলের প্রতি নজর দেননি। রাহুল পদত্যাগের পর যে সমস্ত পদাধিকারীরা ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁরাও মূলত তরুণ ব্রিগেডের। এক কথায়, লোকসভায় হার এবং রাহুল গান্ধী সভাপতিত্ব ছাড়ার পর কংগ্রেসে নবীন এবং প্রবীণ ব্রিগেডের দ্বন্দ্ব দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে যায়। সেই বিবাদ উসকে দিল অমরিন্দরের মন্তব্য।
[আরও পড়ুন: সিবিআই থেকে সরানো হল নাগেশ্বর রাওকে, স্বস্তি পাবেন রাজীব কুমার?]
পাঞ্জাবের কংগ্রেস সভাপতি বললেন, রাহুল গান্ধীর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। ওনার জায়গায় এ বার তরতাজা তরুণ কোনও নেতাকে কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই। এমন একজন যিনি নিজের ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে দলকে উদ্বুদ্ধ করতে পারবেন। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির কাছে আমার অনুরোধ, যুব সমাজের চাহিদা বুঝে কোনও তরুণ নেতাকেই দায়িত্বে আনুন, যুব সমাজের আশা আকাঙ্ক্ষা যিনি বুঝবেন, যুব সমাজের সঙ্গে শিকড়ের যোগ থাকবে যাঁর।” কিন্তু, সভাপতি নির্বাচন নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্ব যখন মুখে কুলুপ এঁটেছেন, তখন অমরিন্দর কেন এমন আলটপকা মন্তব্য করলেন, তাঁর উত্তর কারও কাছেই নেই।