সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নয়া বিপাকে রাম রহিম সিংয়ের দত্তক কন্যা হানিপ্রীত ইনসান। শুক্রবার তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছে হরিয়ানা পুলিশ। ‘পাপা’স অ্যাঞ্জেল’ নামেই পরিচিত রাম রহিমের কন্যা হানি। নামেই ‘মেয়ে’। বস্তুত, ডেরা সাচা সওদার সদস্যরা জানেন, তিনি আসলে রাম রহিমের সর্বক্ষণের সঙ্গিনী। রাতেও ‘বাবা’র গোপন কক্ষে তাঁর অবাধ যাতায়াত। এমনকী, জেলে বসেও গুরমিত রাম রহিমের দাবি, তার কাছে আসতে দেওয়া হোক হানিপ্রীতকে।
[রাম রহিমের শাস্তিদাতা বিচারকের কী হল জানেন?]
জেলে নাকি রাম রহিম সিং ভারী অসুস্থ। আর হানিই নাকি জানেন কীভাবে কোন ওষুধ দিলে ঠিক থাকবেন ডেরা সাচা সওদা প্রধান। ফলে জোর নাটক রোহতকে। বছর কয়েক আগে এই হানিপ্রীতকে দত্তক নেন রাম রহিম। হানিপ্রীতের স্বামী ক’দিন আগেই অভিযোগ করেন, স্ত্রীকে তাঁর কাছে থাকতে দিত না রাম রহিম। হানিপ্রীতের সঙ্গে রাম রহিমের অবাধ যৌনাচার নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। বলেন, ডেরা প্রধানের সঙ্গে সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় হানিপ্রীতকে দেখে ফেলছেন সিরসায়। গোটা বিষয়টিকে সকলের চোখের আড়ালে রাখতেই হানিপ্রীতকে দত্তক নেওয়ার নাটক করেছিলেন ডেরা সাচা প্রধান।
[আমি নপুংসক, সিবিআই আদালতকে জানিয়েছিল ধর্ষক বাবা রাম রহিম]
এখন কোথায় রয়েছেন হানিপ্রীত? কেউ কেউ বলছেন, বাবার ভাল সময় কেটে যেতেই চম্পট দিয়েছেন হানিপ্রীত। গোপন ডেরায় বসে ছক কষছেন কীভাবে রাম রহিমের পুত্র, কন্যা বা জামাইয়ের হাত থেকে ডেরার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির দখল নেওয়া যায়। রিপোর্ট মোতাবেক, রাম রহিম যেখানে বন্দি রয়েছেন, সেই রোহতক জেলের কাছেই ডেরার এক সদস্যের বাড়িতে রয়েছেন হানি। পঞ্চকুলার আদালত থেকে গুরমিতকে যখন জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেই সময় চপারে কেন হানিপ্রীত ছিলেন, সেটা জানতে তদন্তে নেমেছে হরিয়ানা পুলিশ। গত শুক্রবারের বেশ কয়েকটি ছবিতে চপারে গুরমিতের পাশে হানিপ্রীতকে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। কে তাঁকে চপারে ওঠার অনুমতি দিলেন, সেটা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।