সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: সিবিআই (CBI) নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, অসন্তোষের জের। দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্বের রোষানলে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রিপোর্ট তলব করেছে শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। আগেও দিলীপ ঘোষের বেলাগাম একাধিক মন্তব্যের জন্য তাঁকে ‘সেন্সর’ করা হয়েছিল। ফের সিবিআইয়ের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে শীর্ষ নেতাদের বিরাগভাজন হলেন মেদিনীপুরের সাংসদ।
রবিবার কলকাতায় এক কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানেই বিতর্কের সূত্রপাত ঘটিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। বলেছিলেন, “আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত হলেও এফেক্ট পড়ছিল না। গত কয়েক বছর ধরে বাংলায় সিবিআইয়ের সঙ্গে সেটিং করা হচ্ছিল। অর্থমন্ত্রক বুঝতে পেরে ইডিকে পাঠিয়েছে।” ইডির (ED) তদন্ত নিয়ে অনেকের আপত্তি রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। তাঁর কথায়, “ইডি পোষ মানবে না, কামড়াবে। যারা সেটিং করেছে তাঁরাই এখন ইডির তদন্ত নিয়ে আপত্তি করছে। আদালতে যাচ্ছে। প্রশ্ন করছে, কেন ইডি তদন্ত করবে?”
[আরও পড়ুন: অনুব্রতর জামাইবাবু-ভাগ্নে চালকলের মালিক! তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য]
এরপর সোমবারও ফের নিজের বক্তব্যে অনড় থেকে ফের সিবিআইয়ের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেন দিলীপ। এবার তিনি বলেন, ”সিবিআই দেশের সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থা। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু ন্যায় পাইনি। ভোটের পর আমাদের ৬০ জন কর্মী মারা গিয়েছেন। কোর্ট বলেছিল সিবিআইকে, তদন্ত করে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে। কিন্তু সিবিআই তো এফআইআর-ই (FIR)দায়ের করতে পারল না। সিবিআই কার, তা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। সিবিআই, ইডি দেশের সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে কাজ করে। ইডি অনেক ভাল কাজ করেছে। প্রমাণ করে দিয়েছে, তারাই সবচেয়ে বিশ্বস্ত এজেন্সি।”
[আরও পড়ুন: হাতে করে অমিত শাহর জুতো এগিয়ে দিলেন তেলেঙ্গানার বিজেপি সভাপতি! তুঙ্গে বিতর্ক]
প্রসঙ্গত, সিবিআই মূলত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীন, ইডি অর্থমন্ত্রকের। সেই সমীকরণ অনুযায়ী, অমিত শাহর অধীনস্থ সিবিআইয়ের উপর সরাসরিই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দিলীপ। তার ফলও পাচ্ছেন। মন্তব্যের একদিনের মধ্যেই দিল্লি থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। যদিও রিপোর্টের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন স্বয়ং দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, এমন কোন রিপোর্ট চায়নি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।