সুমন করাতি, হুগলি: একসঙ্গে মদ্যপান করে স্ত্রীর প্রেমিককে গলা টিপে খুনের অভিযোগ। হাওড়া থেকে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত লরি চালক। পুলিশের দাবি, অভিযুক্তর স্ত্রীয়ের সঙ্গে ব্যবসায়ীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। প্রতিহিংসার জেরেই তাঁকে গলা টিপে খুন করেন গাড়ির চালক। শনিবার ধৃতকে আদালতে পেশ করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যবসায়ীর নাম মহম্মদ নবি আলম আনসারি (৩৯) ওরফে ছোটু। আদি বাড়ি বিহারের মজফরপুরে। দীর্ঘদিন ধরে হুগলির দাদপুর থানার মহেশ্বরপুর এলাকায় গাড়ির চাকার ব্যবসা করতেন। অভিযুক্ত শেখ সিকান্দার আলির বাড়ি দাদপুরের পুইনান এলাকায়। তিনি পেশায় লরি চালক। তাঁর দোকানে টায়ারের কাজ করাতে গিয়ে বন্ধুত্ব হয়েছিল দুজনের। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি প্রিয়ব্রত বক্সি বলেন,”গত ১১ ফেব্রুয়ারি দাদপুর থানার পুলিশ জানতে পারে, ব্যবসায়ী ছোটু মহেশ্বরপুরে তাঁর নিজের দোকানে মৃত অবস্থায় পরে আছেন। মৃতদেহ উদ্ধারের সময় তাঁর গলায় ক্ষতচিহ্ন দেখতে পান পুলিশ কর্মীরা। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।” দোকানের ম্যানেজার দাদপুর থানায় একটি খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নামে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: মায়ের কোল থেকে সন্তানকে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ, সন্দেশখালিতে রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন]
ঘটনার পর ব্যবসায়ীর গাড়ি ও মোবাইলটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে মৃতদেহ উদ্ধারের সময় দেহের পাশে পরে থাকা একটি চিরকূট পায় পুলিশ যাতে তিনটি মোবাইল নম্বর লেখা ছিল। সেই মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এর পরই খোঁজ মেলে শেখ সিকান্দার আলির। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাতে হাওড়ার শালিমারে রেলওয়ে সাইডিং থেকে শেখ সিকান্দার আলিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানতে পারে, সিকান্দার আলির দুটি বিবাহ। প্রথম পক্ষের স্ত্রী তাঁর সঙ্গে থাকতেন না। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সাথেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল ছোটুর। সেই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি সিকান্দার। এনিয়ে ছোটুর সঙ্গে বিবাদও চলছিল। শেষপর্যন্ত ব্যবসায়ীকে খুনের পরিকল্পনা করেন সিকান্দর।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি দুজনে একসঙ্গে মদ্যপান করেন। এর পর ছোটুকে গলা টিপে খুন করেন সিকান্দর। খুনের পর ব্যবসায়ীর গাড়ি নিয়ে চম্পট দেন তিনি। হরিপালের অলিপুর এলাকা থেকে গাড়িটি উদ্ধার করলেও মোবাইল ফোনটি এখনও মেলেনি।