ধীমান রায়, কাটোয়া: গুলি চালিয়ে লুটপাটের পর পোষ্য সারমেয়কে অপহরণের ঘটনায় জারি ধরপাকড়। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার পুইনি গ্রামের এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনও অধরা বেশ কয়েকজন। ধৃতদের জেরা করে বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
ধৃতরা হল আমজাদ আলি শেখ ওরফে লম্বু। সে মঙ্গলকোটের শিমুলিয়ার বাসিন্দা। অপর ধৃত হীরামোহন মল্লিক। তিনি বর্ধমান শহরের কেতুপুরের বাসিন্দা। দুজনকেই রবিবার আদালতে পেশ করা হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুজনকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে। জেরা করে তথ্য আদায়ের জন্য তাদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানানো হবে বলেই খবর।
পুইনি গ্রামের বাসিন্দা নিবাস দাস। তিনি পেশায় জ্যোতিষী। তাঁর বাড়ি ছিল কাটোয়ার ঘোড়ানাস গ্রামে। প্রায় ২৫ বছর আগে বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ি পুইনি গ্রামে বসবাস শুরু করেন। গত শুক্রবার রাত প্রায় পৌনে এগারোটা নাগাদ সদর দরজা খোলা ছিল। পোষ্য সারমেয়কে নিয়ে বাইরে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ, তখনই ৬-৭ জনের দুষ্কৃতীদল তাঁকে ঘিরে ধরে। ভোজালি, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকে যায় দুষ্কৃতীরা। তারপর লুটপাট চালাতে থাকে। গুলি চালিয়ে বাড়ি থেকে লুট করে নিয়ে যায় ৭ ভরি সোনা, ৩৫ ভরি রূপোর গয়না-সহ নগদ কিছু টাকা।
ভোজালির কোপে জখম হন ওই পরিবারের এক যুবক। লুটপাট শেষে বাড়ির পোষা কুকুরকেও অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। খবর পেয়েই কাটোয়া-সহ আশপাশের থানা এলাকার আইসি, ওসিরা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ওই এলাকায় যান। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।