সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজান ও হনুমান চালিশা বিতর্ক নতুন মোড় নিল মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। এদিন রাজ্য সরকার ঘোষণা করল, এবার থেকে ধর্মীয়স্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। অন্যদিকে অশান্তি এড়াতে নাসিক পুলিশ একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, মসজিদের ১০০ মিটারের মধ্যে হনুমান চালিশা পাঠ নিষিদ্ধ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি লাউডস্পিকারে আজান বাজানো নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরে (Raj Thackeray)। “হিন্দু ভাইদের প্রস্তুত থাকার” আহ্বান জানান রাজ। ৩ মে-র মধ্যে মসজিদ থেকে লাউস্পিকার সরানো না হলে পালটা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন তিনি। বলেন, “হিন্দু ভাইরা তৈরি থাকুন। ৩ মে-এর পরেও যদি দেশের কোনও মসজিদে লাউডস্পিকার বাজে, তাহলে মসজিদের সামনেই আমরা লাউডস্পিকারে হনুমান চালিশা পড়ব।” সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ ওয়ালসে পাতিল আজ রাজ্য পুলিশের মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এবার থেকে রাজ্যে ধর্মীয়স্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহারের জন্য অনুমতি লাগবে। এই নির্দেশিকা সমস্ত পুলিশ কমিশনার ও জেলা অধিকারিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাজার যেন আগুন, চার মাসে নয়া রেকর্ড গড়ল পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার]
এদিকে নাসিক পুলিশ সোমবার একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, লাউডস্পিকার ব্যবহারের জন্য আগামী ৩ মে-র মধ্যে ধর্মীয়স্থানগুলিকে আবেদন করতে হবে। এই নির্দেশ না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরপক্ষে নাসিকের পুলিশ কমিশনার দীপক পাণ্ডে জানিয়েছেন, মসজিদের ১০০ মিটারের মধ্যে হনুমান চালিশা পাঠ নিষিদ্ধ। আজানের আগে ও পরে পনেরো মিনিটের মধ্যে হনুমান চালিশ পাঠ বা ভজনের অনুমতি দেওয়া হবে না।
[আরও পড়ুন: ফের চাঞ্চল্য লখিমপুরে, এবার দুই বাইক আরোহীকে পিষে দিল বিজেপি বিধায়কের গাড়ি]
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ ওয়ালসে জানিয়েছেন, লাউডস্পিকার বাজানো নিয়ে সম্পূর্ণ নির্দেশিকা আগামী দু-একদিনের মধ্যেই জানানো হবে। মন্ত্রী বলেন, “আমরা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। যারা রাজ্যের শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”