স্টাফ রিপোর্টার: ‘পিপ্পা’ ছবিতে ব্যবহার হওয়া ‘লৌহ কপাট’ গানের রিমেক নিয়ে ঝড় যেন থেমেও থামছে না। প্রশ্ন উঠেছে গানের স্বত্ত্ব বিক্রি এবং চুক্তি নিয়ে। কাজী পরিবারের সঙ্গে হওয়া মুম্বইয়ের প্রযোজনা সংস্থার চুক্তিপত্রে ঠিক কোন শর্তে গান ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল? বিতর্ক তৈরির হওয়ার ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় কলকাতা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করলেন কাজী পরিবারের একপক্ষ। এ যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে!
এদিন কলকাতার সাংবাদিক বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য ঢাকা থেকে উড়ে এসেছিলেন কাজী সব্যসাচীকন্যা খিলখিল কাজী। যিনি বাংলাদেশের নজরুল বোর্ডের অন্যতম ট্রাস্টি। পদ্মাপারে তাঁর অনুমোদনেই নজরুলগীতি ব্যবহার করতে পারেন শিল্পীরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাজী অনিরুদ্ধপুত্র অরিন্দম কাজী। সম্পর্কে একে-অপরের তুতো ভাইবোন।
তাঁদের দুজনেরই অভিযোগ পরিবারের আরেক সদস্য অনির্বাণ কাজীর বিরুদ্ধে। কারণ, রয় কাপুর প্রোডাকশনস প্রাইভেট লিমিটেড-এর তরফে পাঠানো চুক্তিপত্রে কল্যাণী কাজীর পাশাপাশি একমাত্র তাঁর নামই জ্বলজ্বল করছে। এছাড়াও সেই চুক্তিপত্রে কিছু অসঙ্গতিও রয়েছে বলে উল্লেখ করলেন অরিন্দম কাজীর পরিবার। চুক্তিপত্রে নজরুলের পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী এবং তাঁর জেষ্ঠপুত্র অনির্বাণ কাজীর সইয়ের তারিখে গড়মিল রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই তাঁদের দাবি, “ওটা কি আসল চুক্তিপত্র?”
[আরও পড়ুন: চক দে ইন্ডিয়া! ভারতের বিশ্বজয়ের আশায় বিরাট মন্ত্র দিলেন ‘ক্যাপ্টেন কবীর’ শাহরুখ]
ভবিষ্যতে যেন আর নজরুলগীতির স্বস্ত্ব নিয়ে কোনওরকম বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেই প্রেক্ষিতে এবার সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন অরিন্দম ও খিলখিল কাজী। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের আর্জি, “পশ্চিমবঙ্গে এবার নজরুল বোর্ড গঠন হোক।” যেখানে কবি পরিবারের তরফে এপার বাংলার প্রতিনিধি হিসেবে অরিন্দম কাজীর নাম প্রস্তাব করলেন খিলখিল।
উল্লেখ্য়, এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে প্রকাশ্যে কাজী পরিবারের অন্দমহলের কোন্দল! নজরুলপুত্র অনিরুদ্ধ ওরফে নিনির দুই ছেলে- অনির্বাণ ও অরিন্দমের মধ্যে যে বনিবনা নেই, তা কার্যতই স্পষ্ট হল সাংবাদিক বৈঠকে। ভাই অনির্বাণ কাজীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বিদেশে ঠাকুরদা নজরুল ইসলামের ব্যবহৃত জিনিসপত্র বিক্রি করার অভিযোগও তুললেন অরিন্দম কাজী।