সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পছন্দের খাবারের টোপ, শিশুর মূত্র কোনও কিছুই কাজে আসেনি। কার্যত গোটা বাহরাইচ দাপিয়ে বেড়ানো মানুষখেকো নেকড়ে ধরতে একের পর এক চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বনদপ্তরের। এই পরিস্থিতিতে শেষ নেকড়ে ধরতে প্রেমের ফাঁদ পাততে চলেছে প্রশাসন। জানা যাচ্ছে, দলপতি এই নেকড়েকে পাকড়াও করতে ব্যবহার করে হবে স্ত্রী নেকড়ের গলার আওয়াজ।
গত ২ মাস ধরে উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ জেলায় আতঙ্কের অপর নাম হয়ে উঠেছে নেকড়ের দল। রাতের অন্ধকারে নরখাদকের হামলায় ইতিমধ্যেই প্রাণ গিয়েছে ১০ জনের। যার মধ্যে ৯ জনই শিশু। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ৩৬ জন। এই অবস্থায় গোটা জেলায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে প্রশাসন। চলছে 'অপারেশন ভেড়িয়া' অভিযান। যার মাধ্যমে ড্রোন, ক্যামেরা, থার্মাল ক্যামেরা, পুতুল, শিশুর মূত্র এমনকী বাজিও ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ৫টি নেকড়ে ধরা পড়লেও শেষ নেকড়ের টিকি ছুঁতে পারেনি বনদপ্তর। গত এক সপ্তাহে একাধিক গ্রামে হামলাও চালিয়েছে এই নেকড়েটি। গুরুতর এই পরিস্থিতিতে শেষ চেষ্টা হিসেবে পাতা হচ্ছে প্রেমের ফাঁদ।
জানা যাচ্ছে, এক্ষেত্রে স্ত্রী নেকড়ের গলার স্বর রেকর্ড করবে বনদপ্তর। রেকর্ড করা সেই নেকড়ের গলার আওয়াজ স্পিকারের মাধ্যমে জায়গায় জায়গায় চালানো হবে। বনদপ্তরের আশা। এই আওয়াজে আকৃষ্ট হয়ে আসবে নেকড়ে। এর পর জীবিত অথবা মৃত ধরা হবে মানুষখেকো নেকড়েকে। বনদপ্তরের তরফে জানা যাচ্ছে, যে স্ত্রী নেকড়েটির গলার স্বর রেকর্ড করা হয়েছে সেটি কিছুদিন আগে ধরা ওই দলেরই স্ত্রী নেকড়ে।
এদিকে শেষ নেকড়েকে ধরার জন্য যখন চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ঠিক সেই সময় নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে গ্রামবাসীদের নয়া দাবিতে। মহসি তহসিলের গ্রামবাসীদের একাংশ দাবি করলেন, নতুন এক নেকড়ের দলকে দেখেছেন তাঁরা! আর সেই দলেই রয়েছে ‘মানুষখেকো’ ষষ্ঠ নেকড়েটিও। কিন্তু সত্যিই কি নতুন করোনও নেকড়ের দলকে দেখা গিয়েছে? তা নিয়ে অবশ্য ধন্দ রয়েছে। বন বিভাগের আধিকারিক অজিতপ্রতার সিং এমন দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রাথমিক ভাবে। তবে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।