লখনউ সুপার জায়ান্টস: ১৬৩/৫ (স্টয়নিস-৫৮, রাহুল-৩৩)
গুজরাট টাইটান্স: ১৩০/১০ (সুদর্শন-৩১, তেওটিয়া-৩০)
৩৩ জয়ী লখনউ সুপার জায়ান্টস
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টস জিতে প্রথমে বল করে প্রতিপক্ষের রান তাড়া করে লক্ষ্যে পৌঁছনো। এটাই কার্যত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মূল মন্ত্র। কিন্তু টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে বড় রান না করেও যে জয়ের সমীকরণ বদলে দেওয়া যায়, রবিবার লখনউয়ে তারই সাক্ষী রইল দর্শকরা। গুজরাটের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামিয়ে হাসতে হাসতে ম্যাচ বের করে নিল রাহুল অ্যান্ড কোং। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি আরও একবার নজর কাড়ল রাহুলের নেতৃত্ব।
আইপিএলে এর আগে চারবারের সাক্ষাতে প্রতিবারই লখনউকে হারিয়েছে গুজরাট (Gujarat Titans)। অর্থাৎ আহমেদাবাদ হোক কিংবা রাহুলদের ঘরের মাঠে, কোনওখানেই সুপার জায়ান্টসদের রেয়াত করেননি গিলরা। বদলার আগুন যেন ধিকি ধিকি জ্বলছিল লখনউ শিবিরে। অবশেষে রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় লক্ষ্যপূরণ। মধুর প্রতিশোধের হাত ধরেই এল হল জয়ের হ্যাটট্রিক।
[আরও পড়ুন: ‘একেকটা ভোট ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য’, দেবের সমর্থনে রোড শো থেকে বললেন অভিষেক]
এদিন ব্যাটাররা সেভাবে জ্বলে উঠতে না পারায় ১৬৪ রানেই শেষ হয়ে যায় লখনউয়ের ইনিংস। স্টয়নিসের ৫৮ রান এবং ক্যাপ্টেন রাহুলের (KL Rahul) ৩৩ ছাড়া ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি কেউই। স্কোরকার্ড দেখে অনেকেরই মনে হয়েছিল হয়তো সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে যাবেন গিলরা। কিন্তু বোলাররা তা হতে দিলেন না। অনবদ্য বোলিংয়ের দোসর আবার চোখ ধাঁধানো ফিল্ডিং। দুয়ে মিলেই গুজরাটকে ধরাশায়ী করল লখনউ। উড়ন্ত ক্য়াচ ধরে কেন উইলিয়ামসনকে আউট করে জন্টি রোডসের কথা মনে করালেন রবি বিষ্ণোই।
এদিকে হাত ঘুরিয়ে তাক লাগালেন তরুণ যশ ঠাকুর। ৩.৫ ওভার বল করে ৩০ রান দিয়ে পাঁচটি উইকেট তুলে নেন তিনি। গুজরাটের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামাতে বড় ভূমিকা পালন করেন ক্রুণাল পাণ্ডিয়াও। ১১ রান দিয়ে নেন তিনটি উইকেট। আর দুই বোলারের দাপটেই ১৩০ রানে গুটিয়ে যায় গতবারের রানার্স-আপরা। তবে জয়ের মাঝেও খানিকটা চিন্তায় ফেলল ময়ঙ্ক যাদবের চোট। এক ওভার বল করেই পায়ের যন্ত্রণা নিয়ে মাঠ ছাড়েন চলতি আইপিএলের 'গতিদানব' ময়ঙ্ক। এর পর ফিল্ডিং করতেও আর দেখা যায়নি তাঁকে।