সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নয়া বিপাকে দিল্লির প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা সত্যেন্দ্র জৈন। তাঁর বিরুদ্ধে ৭ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দিলেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা। দিল্লি পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখাকে সত্যেন্দ্রর বিরুদ্ধে তদন্ত করার ভার দেওয়া হয়েছে।
সত্যেন্দ্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ, মন্ত্রী থাকাকালীন মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের একটি জরিমানা মকুব করে দিয়েছেন তিনি। বেনিয়মের অভিযোগে সেসময় BEL-এর উপর ১৬ কোটি টাকা জরিমানা ধার্য করে দিল্লি সরকার। সেই জরিমানা না মিটিয়ে ভারতইলেকট্রনিক্সের কর্তারা সত্যেন্দ্রর দ্বারস্থ হন। অভিযোগ তিনি ৭ কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে ওই ১৬ কোটির জরিমানা মকুব করে দেন।
[আরও পড়ুন: মোদির রুশ সফরের আগে সেনার হাতে ৩৫ হাজার AK-২০৩ রাইফেল]
লেফটেন্যান্ট গর্ভনরের কার্যালয়ের তরফে বিবৃতি জারি করে এই ঘটনার তদন্তের কথা জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, বিইএলের এক কর্মচারী ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সত্যেন্দ্রের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কিছু তথ্য এসেছে দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) দুর্নীতি দমন শাখার হাতে। সেটার ভিত্তিতেই তদন্তের নির্দেশ। যদিও আপ (AAP) এই সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা করেছে। দিল্লির মন্ত্রী তথা আপ নেত্রী অতিশীর বক্তব্য, বিজেপি দিল্লি সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ১০ বছরে আপ নেতাদের বিরুদ্ধে ২০০টির বেশি মামলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: পাহাড়ি যুদ্ধে জব্দ হবে লালফৌজ! চিনের চিন্তা বাড়িয়ে ভারতের হাতে ‘জোরাওয়ার’]
উল্লেখ্য, আর্থিক তছরুপ মামলায় ২০২২ সালে সত্যেন্দ্র জৈনকে (Satyendar Jain) গ্রেপ্তার করে ইডি। অভিযোগ ছিল, মন্ত্রী পদে থাকাকালীন নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেআইনি টাকায় জমি কিনেছিলেন তিনি। তিহাড় জেলে বন্দী হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন দিল্লির প্রাক্তন মন্ত্রী। গত বছর মে মাসে জ্ঞান হারিয়ে জেলের শৌচালয়ে পড়েও যান তিনি। এরপর আদালতে সত্যেন্দ্রর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী। সে আবেদন মঞ্জুরও করে আদালত। তবে দীর্ঘদিন জামিনে মুক্ত থাকার পর আদালতের নির্দেশে জেলে ফিরতে হয় তাঁকে।