সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শরতের আকাশে দল বেঁধে মেঘের আনাগোনা শুরু হয়ে গিয়েছে৷ ষষ্ঠী, সপ্তমী, নবমী, দশমী – তারপর? তারপর বাক্সপ্যাটরা বেঁধে বাঙালি বেরিয়ে পড়বে পছন্দের ঠিকানায়৷ এমনই পথিকদের প্রত্যাশায় থাকে সুন্দরী লুলুং৷ ওড়িশার এই রাঙামাটির সাম্রাজ্য সাক্ষী প্রকৃতির জানা-অজানা কাহিনির৷
Advertisement
কী দেখবেন –
- লাল পাথুরে মাটিতে ঘন জঙ্গল নেই বটে৷ তবে শাল-পিয়ালের দল আকাশের উচ্চতার সঙ্গে টক্কর দেয়৷
- নিচে বয়ে গিয়েছে পলপলা নদী৷ জ্যোৎস্না রাতে যার ঠান্ডা জলের ছোঁয়া উপভোগ করতে ভিড় জমায় বুনোহাতির দল৷
- বর্ষা নেই বটে৷ তবে লুলুংয়ের আশেপাশে প্রচুর ময়ূরের দেখা পাবেন৷ ভাগ্য ভাল থাকলে বাঘ, কুমীরের দেখাও পেতে পারেন৷
- মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে দুধ-সাদা বরহেনি ও জোরান্ডা জলপ্রপাত৷ আর ৪০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে দেবকুণ্ড ও বাংরিপোসি জলপ্রপাত৷
- চাইলে বারিপদায় জগন্নাথ মন্দির ও অম্বিকার মন্দিরও দেখে আসতে পারেন৷
কীভাবে যাবেন –
- কলকাতা থেকে লুলুং এর দূরত্ব ২৬০ কিমি৷ ট্রেনে করে চলে যেতে পারেন বালাসোর কিংবা বারিপদা৷ সেখান থেকে বাস, ট্যাক্সি বা ভাড়ার গাড়িতে পৌঁছে যেতে পারেন লুলুং৷
- এ ছাড়া গাড়িতে কলকাতা থেকে ছয় নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বাংরিপোসি মোড়৷ সেখান থেকে বেঁকে ২০ কিমি দুরেই পৌঁছানো যাবে লুলুং৷
কোথায় থাকবেন –
লুলুংয়ে থাকার আদর্শ জায়গা বনবিভাগের সুন্দর কটেজগুলি৷ যার প্রত্যেকটি বারান্দা থেকে দেখতে পাওয়া যায় ছোট ছোট পাহাড়গুলির অপরূপ শোভা৷
The post পাহাড়-নদী-জলপ্রপাত, পথিকের সব প্রত্যাশার পথিকৃৎ লুলুং appeared first on Sangbad Pratidin.