বাবুল হক, মালদহ: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে পাঠরত এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের গাজোলে। সোমবার দুপুরে বাড়ির শৌচালয় থেকে ওই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করে গাজোল থানার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই ছাত্র আত্মহত্যা করেছেন। তবে ঠিক কী কারণে আত্মহত্যা তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পরিবারের সন্দেহ, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে ফেরার পর বাড়িতে হতাশাগ্রস্তভাবে থাকতে দেখা যায় ওই ছাত্রকে। আত্মহত্যার নেপথ্যে হস্টেল সংক্রান্ত কারণ থাকতে পারে বলে পরিবারের সন্দেহ। যদিও এদিন রাত পর্যন্ত পরিবারের তরফে এই বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
[আরও পড়ুন: Durga Puja: ‘VIP-দের জন্য যেন রাস্তা বন্ধ না হয়’, পুজোয় যানজট নিয়ে কড়া মুখ্যমন্ত্রী]
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম উত্তম মার্ডি (২২)। বাড়ি গাজোলের মাঝরা এলাকায়। উত্তম তাঁর এক জেঠু কচুয়া মার্ডির বাড়িতে থাকতেন। জেঠুর বাড়িতেই এদিন সকাল দশটা নাগাদ গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে উত্তম আত্মঘাতী হন। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃতের জেঠু কচুয়া মার্ডি বলেন, “ওকে ইতিহাস নিয়ে এমএ-তে ভর্তি করা হয়েছিল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। চলতি মাসের তিন তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে রেখে এসেছিলাম। তিনদিন থাকার পর গাজোলে ফিরে আসে। বাড়িতে বলছিল, সে আর হোস্টেলে যাবে না। সেখানে রাত দশটার পর দাদারা ডেকে পাঠাত। আমরা ওকে বলেছিলাম ওখানে ছেড়ে দিয়ে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে। কিন্তু এদিন সকাল দশটা নাগাদ শৌচালয়ে ঢুকেছিল। দীর্ঘক্ষণ বের হয়নি। দরজা ভেঙে দেখতে পাই, গামছায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। এভাবে চলে যাবে ভাবতেই পারিনি।”