রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: খেজুরির সভা থেকে ফের অধিকারীদের নিশানা করলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। শুভেন্দুর পাশাপাশি নজিরবিহীনভাবে আক্রমণ করলেন শিশির অধিকারীকেও। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বললেন, “ক্ষমতা থাকলে আবার লড়ে জিতে দেখাক।”
মঙ্গলবার খেজুরিতে সভা করেন মদন মিত্র। সেখান থেকেই লাগাতার শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন তিনি। প্রশ্ন করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত পদ দেওয়ার পরও কেন দল ছাড়লেন শুভেন্দু? ব্যাঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে নিজেই উত্তরও দেন। বলেন, “আসলে দিদি সব দিলেও নোবেলটা দেওয়া বাকি ছিল, সেই কারণেই এই দলবদল।” এরপরই খেজুরির সংঘর্ষ প্রসঙ্গে বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, এসব করে কোনও লাভ হবে না। নাম না করে ফের শুভেন্দুকে খোঁচা দিয়ে বলেন, “আসার সময় হামলা করিয়েছ, যাওয়ার সময়ও করতে পারো। মরব একবার। যদি মরে যাই লোকে বলবে এক ইমানদার মরেছে। কেউ বিশ্বাসঘাতক বলবে না।” এরপরই শিশির অধিকারীকে তোপ দাগেন তিনি। বলেন, “শিশিরদাকে আমি সম্মান করি। উনি বললেন পরিবারের কাউকে অসম্মান করলে তা মেনে নেবেন না। তবে কেন বললেন না যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অসম্মান করলে সেটার প্রতিবাদও করব?” এরপরই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বললেন, একুশে তৃণমূল বাংলার দায়িত্ব পাবেই।
[আরও পড়ুন: ৩৫ বছর পর কাটজুড়িডাঙ্গা হল্ট স্টেশনের অনুমোদন দিল রেলমন্ত্রক, খুশি বাঁকুড়াবাসী]
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর থেকে নানাভাবে তাঁকে আক্রমণ করেছেন শাসকদলের নেতা-কর্মীরা। কেউ বলেছেন, মেদিনীপুরের মাটিতে বিশ্বাসঘাতকদেরই জন্ম হয়। তাঁর উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি আক্রমণের জবাবে বাংলায় পদ্ম ফোঁটানোর শপথ নিয়েছেন শুভেন্দু। ইতিমধ্যেই তাঁর ভাই সৌমেন্দুও তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। ফলে তাঁর বাবা শিশির অধিকারী ও দাদা দিব্যেন্দুর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর তাঁদের উপর থেকে ভরসাও কমে গিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ, সম্প্রতি দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ও জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে শিশির অধিকারীকে।