অর্ণব দাস, বারাসত: ফের রাজ্যের বিরোধী দলনেতার প্রতি ধেয়ে গেল ‘মদন-বাণ’। এবার তাঁর ‘ব্যান্ডেজ’ দাওয়াই, সেইসঙ্গে ‘মমি’ তত্ত্ব। বেলঘরিয়ার এক অনুষ্ঠান থেকে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। বললেন, ”মমতাকে (Mamata Banerjee) প্রাক্তন করতে গেলে শুভেন্দু মমি হয়ে যাবে।” শুক্রবার বেলঘরিয়ার এক মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্য ঘিরে সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
শুক্রবার বেলঘরিয়ায় ‘বিদেশি পাখির মেলা, মাছের খেলা, সাথে ফুল ও ফলের দেখা’ মেলাটির উদ্বোধন ছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কামারহাটি বিধানসভার বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra), কামারহাটি পৌরসভার প্রধান গোপাল সাহা-সহ কামারহাটি পৌরসভার প্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “কবে পঞ্চায়েত নির্বাচন, তার আগেই মেডিক্যাল ক্যাম্প তৈরি করা হয়ে গেছে। কারণ যেভাবে বিজেপি নোংরামি করছে, যা অসভ্যতামি করছে, যেভাবে শুভেন্দু নোংরা অকথ্য কথা বলছে তাতে মানুষ যে কোনও সময় আক্রান্ত হতে পারে। তাই আমরা আগে থেকেই ডাক্তারের ব্যবস্থা রাখছি।”
[আরও পড়ুন: শীতের রাতে উদ্ধার পরিত্যক্ত শিশু, বুকের দুধ খাইয়ে সুস্থ করলেন পুলিশ কর্তার স্ত্রী]
তাঁর আরও কটাক্ষ, ”পঞ্চায়েতে ব্যান্ডেজ খুব কাজে লাগবে। শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন করবেন। কিন্তু ও জানে না যে তা করতে গেলে নিজে মিশরের মমি হয়ে যাবে।” পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজের ভূমিকা নিয়ে মদন মিত্রকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ”পঞ্চায়েতে আমাকে যেখানে পাঠানো হবে, যাব। নন্দীগ্রামে যেতে চাই। কারণ, গতবার নোংরামি করে জিতেছিল শুভেন্দু। এবার আমরা সেটা হতে দেব না। কুণাল ঘোষকে দায়িত্ব দিয়েছে দল, ও ভাল কাজ করছে। তবে আমি চাই, নন্দীগ্রামে দুটো মিটিং করতে।” শুভেন্দু অধিকারীকে মানসিক চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানোর নিদানও দিয়েছেন মদন মিত্র।
[আরও পড়ুন: বিক্ষোভের মাঝে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা, ছাত্রভোট নিয়ে যাদবপুরের পড়ুয়াদের দাবিতে মিলল আশ্বাস?]
কামারহাটির বিধায়কের এহেন মন্তব্যকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা চণ্ডীচরণ রায়ের পালটা বক্তব্য, ”উনি মাঝেমধ্যেই এরকম বলে থাকেন। কী যে বলেন, নিজেও জানেন না। ওসব গিমিক তৈরি করার জন্য বলেন। আমরা ওঁর কথাকে গুরুত্ব দিতে চাই না।”