সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একের পর এক ধর্ষণের ঘটনার জন্য কলঙ্কিত উত্তরপ্রদেশ। কিন্তু সাম্প্রতিককালে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ যোগীরাজ্যের ধর্ষণের রেকর্ডও হয়তো ভেঙে দেবে। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর ও রেওয়া শহরে পর পর দুটি ভয়াবহ ধর্ষণকাণ্ডে শিউরে উঠছে দেশ।
অভিযোগ, রেওয়ায় পিকনিক করতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক মহিলা। স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। এমনকি ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলে রেকর্ড করে রাখে তারা। পুলিশকে বিষয়টি জানালে ধর্ষণের ভিডিয়ো অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে গত ২১ অক্টোবর। অভিযোগ, ওই দম্পতির উপর প্রথমে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। তার পর ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ পেয়ে ওইদিনই তদন্তে নামে স্থানীয় পুলিশ। কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারও করে।
অন্যদিকে, ইন্দোরে এক মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এক দিনমজুরের বিরুদ্ধে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার ভোর পৌনে চারটে নাগাদ সদর বাজার এলাকায় অর্ধনগ্ন ও রক্তাক্ত অবস্থায় নির্যাতিতা মহিলাকে রাস্তায় হাঁটতে দেখা যায়। আরও ভিডিয়ো ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ বুঝতে পারে, ওই মহিলাকে সোনু নামে এক দিনমজুর তার আগে ধর্ষণ করেছে। পরে পুলিশি জেরার মুখে সোনু নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেয়। এই ঘটনা গত বছর সেপ্টেম্বরে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লোকের বাড়ির দরজায় দরজায় ঘুরে সাহায্য চাইতে থাকা এক ধর্ষিতা নাবালিকার ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে।
জোড়া ধর্ষণের ঘটনায় শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে কংগ্রেস। রাজ্য কংগ্রেসের প্রধান জিতু পাটওয়ারি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যখন লাডলি বহেনা যোজনার অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত তখন একটি মেয়ে রাস্তায় ধর্ষিতা হয়ে ঘুরছে।” মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবকে বিঁধে কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে ভগবান বলে দাবি করেন, অথচ ইন্দোরের রাস্তায় মহিলার বস্ত্রহরণ হচ্ছে, উনি দেখতে পাচ্ছেন না? আমাদের রাজ্যে মা-বোনের উপর অত্যাচার কমছে না, অথচ উনি চোখ বন্ধ করে বসে আছেন।”