সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টাকার অভাব। মোবাইলের ডেটা প্যাক রিচার্জ করতে পারেননি বাবা। তার জেরেই অভিমানে আত্মঘাতী ১৪ বছরের কিশোর। এমনই অভিযোগ উঠেছে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর জেলায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সারাক্ষণ মোবাইলে ব্যস্ত থাকত ওই কিশোর। অনলাইনে গেম খেলতে ভালবাসত সে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই খেলা তার নেশা হয়ে গিয়েছিল। কিশোর বাবা মজদুরের কাজ করেন। অভাবের সংসার। দু’বেলার খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিন ধরে ছেলের মোবাইলের ডেটা প্যাক রিচার্জ করে দিতে পারছিলেন না তিনি। এর জেরেই ছেলের সঙ্গে অশান্তি হত বলে খবর।
[আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৫% বাড়ল দেশের করোনা সংক্রমণ, দিল্লিতে একদিনে আক্রান্ত ছ’শোর বেশি]
মঙ্গলবার সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় ১৪ বছরের কিশোরের দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর পৌঁছয় পুলিশের কাছে। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশের অনুমান, মোবাইল ফোন রিচার্জ না হওয়ার অবসাদেই আত্মঘাতী হয়েছে কিশোর।
এমন ঘটনা নতুন নয়। করোনা (Coronavirus) জেরে বহুদিন পড়ুয়াদের অনলাইনে ক্লাস করতে হয়েছে। এর জেরে ভারচুয়াল জগতের প্রতি তাঁদের নির্ভরতা বেড়েছে। অনেকেই এই নির্ভরতা আসক্তির (Mobile Phone Addiction) পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এর ফল হচ্ছে মারাত্মক। এর জেরে স্বভাবগত ভাবে নানা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যণীয়, এমনটাই জানাচ্ছেন গবেষকরা। এই কারণেই শিশু-কিশোর, এমনকী তরুণদের মোবাইল ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা জরুরি বলেই মনে করছেন তাঁরা। শিশু-কিশোরদের বেশি সমস্যা হলে, মনোবিদদের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলা হচ্ছে। প্রয়োজনে Post Box, We Flip, Desert Island আর Morph-এর মতো কিছু অ্যাপও (Apps) ব্যবহার করা যেতে পারে।