সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্ক সংক্রান্ত একটি মামলায় চমকে দেওয়া নির্দেশিকা মধ্যপ্রদেশে হাই কোর্টের (Madhya Pradesh High Court)। আদালতের মতে, স্ত্রীর সঙ্গে 'অস্বাভাবিক' যৌনাচার ধর্ষণ নয়। এর জন্য স্ত্রীর সম্মতি থাকা বা না থাকাও অবান্তর একটি বিষয়। আরও বলা হয় যে স্ত্রীর বয়স ১৫ বছরের কম না হলে স্বামীর অপ্রকৃতিস্থ যৌন সম্পর্ককে ধর্ষণ বলা যায় না।
আদালত সূত্রে জান গিয়েছে, মূল মামলাটি ২০১৯ সালের। এক মহিলা পুলিশে অভিযোগ জানান, তাঁর সম্মতির তোয়াক্কা না করেই স্বামী একাধিকবার 'অস্বাভাবিক' সঙ্গম করেছেন। ওই এফআইআরের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত স্বামী ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এদিন স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর আনা ওই এফআইআর খারিজ করেছে আদালত। গুরপাল সিং আলুওয়ালিয়ার এক সদস্যের বেঞ্চ বলেছে, ১৫ বছরের ঊর্ধ্বের কোনও স্ত্রীর সঙ্গে আপাতদৃষ্টিতে স্বাভাবিক নয় এমন মনে হওয়া কোনও যৌন সম্পর্ককে ধর্ষণ বলা যায় না। যদি তাতে স্ত্রী আপত্তি থাকে তাও নয়।
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কুরসি পেয়েও মনমোহনকে দিয়ে দেন সোনিয়া! আত্মত্যাগ নাকি রাজনৈতিক চাল?]
হাই কোর্ট জানায়, স্বামী যদি ১৫ বছরের ঊর্ধ্বের স্ত্রীর সঙ্গে পায়ুসঙ্গম করে তাকে ধর্ষণ বলা যায় না। এই পরিপ্রেক্ষিতে কোনও স্ত্রীর সম্মতি আছে কিনা তাও গুরুত্বহীন। তবে তাঁরা ডিভোর্সের মামলায় আলাদা বসবাস করলে তাকে ধর্ষণ বলা যায়। বৈবাহিক ধর্ষণকে ভারতীয় সমাজ মান্যতা দেয় না বলেও জানিয়েছে আদালত।