সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নৃশংস ঘটনার সাক্ষী হল মধ্যপ্রদেশ। গণধর্ষণের শিকার ১১ বছরের নাবালিকা। মন্দিরের কাছের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় তাকে বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় নাবালিকাকে। তার শরীরজুড়ে কামড়ের দাগ।
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে নিখোঁজ ছিল সাতনা জেলার বাসিন্দা ওই নাবালিকা। রাত হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। এরপর শুরু হয় খোঁজ। শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরের জঙ্গলে রক্তাক্ত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায় কিশোরীকে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক বলেই খবর। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘মহাভারতেও ছিল লাভ জেহাদ’, অসমের কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে বিতর্ক, হুঁশিয়ারি হিমন্তর]
গণধর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে এলাকার বাসিন্দারা। হাসপাতালে ছুটে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তারা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মাইহারের সাব-ডিভিশনাল পুলিশ আধিকারিক লোকেশ ডাবর জানান, তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। গণধর্ষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan)। পুলিশকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। সেই সঙ্গে নির্যাতিতা যাতে সঠিক চিকিৎসা পায়, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে বলেছেন। পালটা মধ্যপ্রদেশে নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি কমল নাথ।