সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) ১৫ বছরের কিশোরীকে অপহরণ করে গণধর্ষণ। ঘটনায় অভিযুক্ত ২ নাবালক-সহ ৭ জন। নাবালকরা নির্যাতিতার সহপাঠী বলে জানা গিয়েছে। ধর্ষণের পর মারধর করে কিশোরীকে রাস্তায় ফেলে রাখে অভিযুক্তরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার বাবা। গুরুতর জখম কিশোরীর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। অন্যদিকে স্থানীয় প্রশাসন ধর্ষণে অভিযুক্ত তিন জনের বাড়ি বুলডোজার (Bulldogger) দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলার। একটি সূত্রে দাবি, শুক্রবার সকালে মন্দিরে পুজো দিতে যাচ্ছিল কিশোরী, সেই সময় তাকে অপহরণ করে অভিযুক্তরা। ওই দিন রাতে রাস্তা থেকে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে তার বাবা। উদ্ধারের সময় সে জ্ঞানহীন অবস্থায় ছিল। ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কিশোরীকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এই ঘটনায় শনিবার তিন অভিযুক্ত রামজীবন মিনা (২১), সঞ্জয় মালি (২১) এবং মোহিত মিনাকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়াও আটক করা হয়েছে আরও দুই নাবালককে।
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মিউজিয়ামে প্রাক্তনদের সঙ্গে মোদিও, সমালোচনায় মুখর বিরোধীরা]
গুনা জেলা প্রশাসনের আধিকারিক ফ্রাঙ্ক নোবেল জানান, আহত নাবলিকাকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে গুনা জেলা হাসপাতাল (Guna District Hospital) স্থানান্তরিত করা হয়েছে। প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। ৭ অভিযুক্তের মধ্যে পাঁচজন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। বাকি দু’জনের খোঁজ চলছে। ছ’জনের বিরুদ্ধেই গণধর্ষণ, ডাকাতি, নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের ধারায় অভিযোগ দায়ের করে এফআইআর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘একতার জন্য দৌড়ন’, রাহুলের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র মাঝেই আরজি মোদির]
এদিকে মর্মান্তিক গণধর্ষণের ঘটনার পর যোগীরাজ্যের বুলডোজার সংস্কৃতি মধ্যপ্রদেশে আমদানি হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণের আগেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। তিন অভিযুক্তের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয়দের বক্তব্য, অন্য অভিযুক্তদেরও কড়া ‘শাস্তি’ দেওয়া হবে। তাদের বাড়িও বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হবে। যদিও পরে স্থানীয় প্রশাসন সাফাই দেয়, বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের বসতবাড়ির ‘বেআইনি’ নির্মাণ।