বাবুল হক, মালদহ: প্রথম দিনের পর দ্বিতীয় দিনও। ফাঁস মাধ্যমিক পরীক্ষার ইংরাজি প্রশ্নপত্র। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পর থেকেই সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) ঘুরতে থাকে ইংরাজি প্রশ্ন। মালদহের এনায়েতপুর হাই স্কুলের এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ ছাত্রীও রয়েছে বলে খবর। ৬ জনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে জেলা শিক্ষা দপ্তর (DPSC)। যদিও এর পরও পর্ষদ সভাপতির দাবি, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেনি।
শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এবছর প্রশ্ন ফাঁস রুখতে কিউআর কোড (QR Code) বসানো হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রথম দিনই বাংলার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় মালদহের (Maldah) একটি স্কুল থেকে। যে দুই ছাত্র এই ঘটনায় জড়িত, তাদের গ্রেপ্তার করে পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল পর্ষদের তরফে। দ্বিতীয় দিনও অর্থাৎ ইংরাজি পরীক্ষার দিনও একই ঘটনা। প্রশ্ন সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral)।
[আরও পড়ুন: আড়ালে বসে ষড়যন্ত্র, ‘পিকচারে’ না থেকেও নিয়োগ দুর্নীতির মূল মাথা পার্থই! বিস্ফোরক CBI]
মালদহের এনায়েতপুর হাই স্কুল থেকে ফাঁস হয়েছে বলে জানা যায়। বাংলা প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর কিউআর কোডের সূত্র ধরে দ্রুত অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিন্তু ইংরাজির ক্ষেত্রে ভাইরাল হওয়া প্রশ্নের কিউআর কোড কালি দিয়ে ঢাকা। অর্থাৎ সহজে যাতে ধরা না পড়া যায়, সেই কারণে কিউআর কোড ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। যদিও তাতে লাভ হয়নি। প্রশ্ন ফাঁসের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ গ্রহণ করে জেলা শিক্ষা সংসদ। মোবাইল-সহ ছয় পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে মালদহের মানিকচক থানার এনায়েতপুর হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে চারজন ছাত্র, দুইজন ছাত্রী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে তাদের।