সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হলেও মাধ্যমিক পরীক্ষার (Madhyamik examination) প্রস্তুতি সেরে রাখছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কারণ, মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল হওয়া নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়নি। তাই পর্ষদ চাইছে, নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি সেরে রাখতে। এমনিতে মাধ্যমিকের মতো বড় পরীক্ষার ক্ষেত্রে অনেক আগে থেকে প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়। তার উপর এবার করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতিতে পরীক্ষার আয়োজন করতে হবে। সেক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। সেকারণেই এখন থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
সূত্রের খবর, সরকার যদি পরীক্ষার অনুমতি দেয় তাহলে আগামী ১ জুন থেকে ১০ জুনের মধ্যে শুরু হতে পারে মাধ্যমিক পরীক্ষা। সেক্ষেত্রে পুরো পরীক্ষা প্রক্রিয়াটিই হবে করোনা বিধি মেনে। পরীক্ষার্থী, পরীক্ষক বা পর্যবেক্ষক সকলের জন্যই মাস্ক বাধ্যতামূলক। পরীক্ষাকেন্দ্রে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে কোনও উদাসীনতা বরদাস্ত করা হবে না। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে গতবারের তুলনায় পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ৫০ শতাংশ বাড়ছে। এবছর মোট ৪ হাজার ২০০ কেন্দ্রে মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে। প্রতিটি শিক্ষাকেন্দ্রে সর্বনিম্ন ২০০ জন থেকে সর্বোচ্চ ২৫০ জনের পরীক্ষা নেওয়া হবে। এক ঘরে কতজন পরীক্ষা দেবে, সেটা ঠিক হবে ঘরের মাপের উপর। ৬ ফুট দীর্ঘ বেঞ্চে একজন করে বসতে পারবেন। পরপর দুটি বেঞ্চের দু’প্রান্তে বসতে হবে পরীক্ষার্থীদের। পাশাপাশি দূরত্ব বজায় রেখে বেঞ্চগুলিও রাখা হবে। ৮ ফুট লম্বা বেঞ্চের দু’ধারে ২ জন করে বসবেন। সতর্কতার জন্য গ্লাভস পরে প্রশ্নপত্র দেবেন শিক্ষকরা।
[আরও পড়ুন: করোনা আবহে একসঙ্গে হোক শেষ দু’দফার ভোট, নির্বাচন কমিশনকে চিঠি তৃণমূলের]
পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ার ফলে পর্যবেক্ষক এবং পরীক্ষক দুটোর সংখ্যাই বাড়াতে হবে। সেজন্য আগে থেকেই শিক্ষকদের তালিকা তৈরি শুরু করে দিয়েছে পর্ষদ। যদিও, পরীক্ষা হওয়া নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ যখন মাধ্যমিক পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে, সেখানে অন্যান্য বোর্ড এখনই পরীক্ষার ঝুঁকি নিতে চাইছে না। একাধিক কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করার পর মঙ্গলবার ইউজিসির (UGC) তরফে বাতিল করে দেওয়া হল নেট পরীক্ষাও।