নন্দন দত্ত, সিউড়ি: মনের মতো হয়নি মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষা। তাই পরীক্ষা শেষ হতেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল ছাত্রী। গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হল মহিমা খাতুন।
পরীক্ষার্থীর বাড়ি বীরভূমের পাইকর থানার উত্তর রামচন্দ্রপুর গ্রামে। সোমবার মাধ্যমিক প্রথম পত্রের বাংলা পরীক্ষা ছিল। পরিবারের তরফে জানানো হয়, মুর্শিদাবাদ নয়াগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল সে। তার পরীক্ষা কেন্দ্র পড়ে হারুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। কিন্তু মাধ্যমিকের (Madhyamik Exam 2022) প্রথম পরীক্ষা একেবারেই মনের মতো হয়নি। বাড়ি ফিরে বিষয়টা পরিবারকেও জানায় মহিমা। কিন্তু ভিতর ভিতর যে মন খারাপের আগুনে দগ্ধ হচ্ছিল, তা টের পাননি বাড়ির লোকেরা। খাওয়া-দাওয়া করে নিজের ঘরে পড়ার জন্য চলে যায় মহিমা।
[আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভায় রদবদল, দায়িত্ব বাড়ল ফিরহাদের, পদোন্নতি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের]
সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ মহিমাকে ডাকতে যান পরিবারের লোকেরা। আর তখনই তাকে দেখে শিউরে ওঠেন প্রত্যেকে। তাঁরা দেখেন, ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে মহিমা। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পাইকর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আজ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। মেয়ের আত্মঘাতী হওয়ার সিদ্ধান্তে ভেঙে পড়েছে পরিবার।
দু’বছর পর রাজ্যের মেগা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কিন্তু তার আগের দিনও এমনই এক ঘটনা সামনে এসেছে। কয়েকদিন ধরেই ইতিহাস পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার আউড়িয়া গ্রামের পরীক্ষার্থী বিশাল চৌধুরী। ঠিকঠাক মনে রাখতে পারছিল না নোটস। পরীক্ষা খারাপ হবে, এই আশঙ্কায় পরীক্ষা শুরুর আগের দিনই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় সে। এবার বাংলা পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় আত্মঘাতী বীরভূমের ছাত্রী।