দীপঙ্কর মণ্ডল: মাধ্যমিকের (Madhyamik) মূল্যায়নে নবম শ্রেণির নম্বর অন্যতম বিবেচ্য। বৃহস্পতিবার ছিল সেই নম্বর পাঠানোর শেষ দিন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, নবম শ্রেণির ভুরি ভুরি ভুল নম্বর জমা পড়েছে। এই কারণে পর্ষদ (WBBSE ) সংশোধিত নম্বর জমা দেওয়ার মেয়াদ বাড়াল। ২৭ জুন সকাল এগারোটা থেকে ২৮ জুন সকাল এগারোটা পর্যন্ত সংশোধিত নম্বর আগের ওয়েবসাইটে আপলোড করা যাবে।
মাধ্যমিকের মূল্যায়নে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ অনুযায়ী গত সোমবার থেকে নবম শ্রেণির নম্বর পাঠানোর কাজ শুরু হয়। ২৪ জুনের মধ্যে প্রত্যেকটি স্কুলকে নবম শ্রেণির নম্বর জানানোর নির্দেশ ছিল। বহু স্কুল থেকে অভিযোগ আসে, ওয়েবসাইটে ‘এরর’ থাকায় নম্বর পাঠাতে সমস্যা হয়েছে। পর্ষদের নির্দেশ, প্রত্যেকটি পড়ুয়ার নাম এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভাল করে মিলিয়ে দেখে নিতে হবে। কোনও বেনিয়ম বা গরমিল হয়েছে মনে হলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
[আরও পড়ুন: মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের নম্বর বাড়িয়ে দিতে লাগাতার হুমকি অভিভাবকদের! ক্ষোভে ফুঁসছে শিক্ষকমহল]
চলতি বছরে যাদের মাধ্যমিকে বসার কথা তারা নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় একশোর মধ্যে প্রত্যেকটি বিষয়ে কত নম্বর পেয়েছে তা www.wbbsedata.com ওয়েবসাইটে আপলোড শুরু হয়। কিন্তু গোল বাধে অন্যত্র। বেশ কিছু স্কুলের প্রধান শিক্ষক দাবি করেন, তাড়াহুড়োয় নবম শ্রেণির ভুল নম্বর চলে গিয়েছে। জেলায় কোনও কোনও স্কুলে নবম শ্রেণির নম্বর বাড়ানোর জন্য প্রধান শিক্ষকদের কাছে চাপ আসতে শুরু করে অভিভাবকদের। পর্ষদের নজরে আসে ভুরিভুরি স্কুলের ভুল নম্বর এসেছে। এই কারণে সংশোধিত নম্বর নতুন করে পাঠানোর জন্য ২৪ ঘন্টা অতিরিক্ত সময় দিল পর্ষদ।
মাধ্যমিকে এবার যাদের বসার কথা তাদের নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা হয়নি। তিনটি সামেটিভ পরীক্ষা হয়েছিল মোট ২০০ নম্বরের। তিনটে পরীক্ষার নম্বর যোগ করে ২ দিয়ে ভাগ করে স্কুলগুলি গড় নম্বর পাঠাচ্ছে। নবম শ্রেণির এই গড় নম্বর অবিকৃত অবস্থায় পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে পর্ষদ। নম্বরে কোনরকম পরিবর্তন করা যাবে না। অনেকে তিনটি, চারটি বা তার বেশি বিষয়ে ‘ডি’ পেয়ে দশম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছিল। পর্ষদের নির্দেশ, সেই অবস্থাতেই পাঠাতে হবে নম্বর।
[আরও পড়ুন: লজ্জা! বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়ে সামাজিক বয়কটের মুখে বীরভূমের ১২ আদিবাসী পরিবার]
প্রধান শিক্ষকরা জানিয়েছেন, নবমে কেউ ফেল করলেও সমস্যা নেই। বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ১০ নম্বরের মধ্যে কারও প্রাপ্ত নম্বর যদি ৫ হয় তাহলেও সে পাস করবে। প্রধান শিক্ষকদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি জানিয়েছেন, সিসি ও কম্পার্টমেন্টালদের ক্ষেত্রে নবম শ্রেণির ২০১৯ সালের ফল পাওয়া যাবে না। নির্দিষ্ট পড়ুয়া যে বছর নবম শ্রেণির পরীক্ষায় পাস করেছিল সেই রেজাল্ট দিতে হবে। কয়েকদিন আগে তিনি মার্কস আপলোডিং-এর সময়সীমা ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি তুলেছিলেন।