সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গর্ভপাত করাতে নির্যাতিতাকে বিচারবিভাগ বা কোনও মেডিক্যাল বোর্ডের অনুমতি নিতে হবে না। শুধু তাই নয়। যদি গর্ভধারণের পর ২০ সপ্তাহ অতিক্রান্তও হয়ে থাকে, তাহলেও নির্যাতিতা কোনও অনুমতি ছাড়াই গর্ভপাত করাতে পারবেন। একে কোনওভাবেই বেআইনি বলে চিহ্নিত করা যাবে না। তবে গর্ভপাত করানোর সঙ্গেই ডিএনএ পরীক্ষার জন্য হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় নমুনাও সংগ্রহ করতে হবে। যুগান্তকারী এই রায় মাদ্রাজ হাই কোর্টের। বিচারপতি এন আনন্দ ভেঙ্কটেশ জানিয়েছেন, মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগনেন্সি অ্যাক্ট, ১৯৭১-এর তিন নম্বর ধারা অনুসারে, এই ধরনের ঘটনায় গর্ভপাতের অনুমতি নিতে নির্যাতিতা মহিলাকে কোনও আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে না।
[আরও পড়ুন: বিচারপতির সংখ্যা ও অবসরের বয়স বাড়ান, মোদিকে চিঠি রঞ্জন গগৈ-এর]
প্রসঙ্গত, ভয় দেখিয়ে এক মহিলাকে ধর্ষণ করার পর, সেই কুকাজের ছবিও তুলে রাখার ঘটনায় অভিযুক্ত নাভিথ আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতেই ঘটেছিল গোটা ঘটনা। মহিলা সেই সময় গর্ভপাতেরও আবেদন জানান এবং গর্ভপাত করাতে ভরতি হন স্থানীয় একটি হাসপাতালে। কিন্তু প্রথমে রাজি হলেও পরে সেই হাসপাতাল গর্ভপাত করাতে অসম্মতি প্রকাশ করে। এর পরই বাধ্য হয়ে ওই মহিলা মাদ্রাজ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। একইসঙ্গে তিনি কস্তুরবা গান্ধী হাসপাতালেও ভর্তি হন।
[আরও পড়ুন: সংশোধনাগারেই খুন শিখ ধর্মগ্রন্থ অবমাননার দায়ে বন্দি, অশান্তির আশঙ্কা পাঞ্জাবে]
মেডিক্যাল পরীক্ষায় জানা যায়, মহিলা ৮ থেকে ১০ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে লিখিতভাবে জানায়, আদালতের অনুমতি ছাড়া গর্ভপাত করানো সম্ভব নয়। সেই আবেদননের ভিত্তিতেই মাদ্রাজ হাই কোর্ট জানিয়েছে, ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটলে নির্যাতিতারা গর্ভপাত করাতে পারবেন কোনও মেডিক্যাল বোর্ড বা আদালতের অনুমতি ছাড়াই। আর এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে ২০ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বাদের ক্ষেত্রেও। রায় ঘোষণার পরই আদালতের তরফে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়, অবিলম্বে ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে গর্ভপাত করানো হয়। একই সঙ্গে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় নমুনাও সংগ্রহ করে, তা যেন ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়।
The post ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা, মেডিক্যাল বোর্ডের অনুমতি ছাড়াও করা যাবে গর্ভপাত appeared first on Sangbad Pratidin.